নাশকতার আশঙ্কায় পিছিয়ে গেল কামারুজ্জামানের ফাঁসি

Kamruzzaman_Fasi_0মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করার ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষকে এখনো নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়নি। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার এই দণ্ড কার্যকর করাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কারণ পরের দিন শুক্রবার এবং জুমার নামাজের আড়ালে নাশকতার ঘটনা ঘটাতে পারে জামায়াত শিবির।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারের আইন মন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের কথায় মনে হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাতেই ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে। আর কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কী না তা জানতে ম্যাজিস্ট্রেটকেও কারাগারে পাঠানোর কথা বলেছিলেন তারা। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই কামারুজ্জামানকে মতামত জনাতে হবে বলেছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। আর আইনমন্ত্রী বলেন, কামারুজ্জামানের হাতে সময় আছে তিন চার ঘন্টা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়নি। তাই কোনো ম্যাজিস্ট্রেট আর শেষ পর্যন্ত প্রাণ ভিক্ষার ব্যাপারে কামারুজ্জামানের মতামত জানতে যাননি।

একজন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়েছে। কারণ পরদিন শুক্রবার। আর এদিন জামায়াত-শিবির জুমার নামাজের আড়ালে বিভিন্ন মসজিদে সমবেত হয়ে নাশকতা করতে পারে বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল।’

তিনি জানান, ‘সারাদেশ থেকেই গোয়েন্দা সূত্রগুলো এই ধরণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।’

আর এ কারণেই শেষ মুহূর্তে বৃহস্পতিবার রাতে ফাঁসি কার্যকর করার চিন্তা বাদ দেয়া হয়। তবে ফাঁসি কার্যকর করার জন্য সব প্রস্তুতিই আছে কারা কর্তৃপক্ষের।

প্রসঙ্গত, ফাঁসির দিন ক্ষণ ঠিক করার দায়িত্ব সরকারের। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আরেক জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাসি কার্যকরের দিন ছিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত। আর রায় কার্যকরের পরদিন শুক্রবার সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা করেছিল জামায়াত-শিবির। তারা ব্যাপক তাণ্ডব এবং ধংসযজ্ঞ চালিয়েছিল।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend