কামারুজ্জামানের মত জানতে কারাগারে ২ ম্যাজিস্ট্রেট
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা জানতে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম জানান, কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না তা জানতে শুক্রবার সকাল ১০টায় দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে প্রবেশ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এ্যাডভোকেট শিশির মো. মনিরের নেতৃত্বে কামারুজ্জামানের পাঁচ আইনজীবী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের জানান, তিনি একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে তার প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তিনি কিছুটা সময় চেয়েছেন।
এর পর পরই দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘যৌক্তিক সময় মানে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে যতটুকু সময় লাগে সেটিকেই বোঝায়।’ তার মতে, যৌক্তিক সময় মানে সাত দিন নয়। কারাবিধিতে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সময়সীমা সাত দিন হলেও এক্ষেত্রে কারাবিধি প্রযোজ্য হবে না।
প্রায় একই সময়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না তা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। তিনি প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। অন্যথায় রায় দ্রুত কার্যকর করবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট তার কাছে যাবেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
এদিকে কারাসূত্রে জানা যায়, কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা না চাইলে ফাঁসি কার্যকর করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী রায় কার্যকরে ব্যবস্থা নেবে কারা কর্তৃপক্ষ। এ জন্য পাঁচজনের একটি জল্লাদ টিমও ঠিক করে রাখা হয়েছে। তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই থাকেন। এর মধ্য থেকে তিনজন কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরে কাজ করবেন। তবে ফাঁসি কার্যকরের আগে শেষবারের মতো কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাতের সুযোগ পাচ্ছেন বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।