দীর্ঘদিন পর সরগরম নয়াপল্টন কার্যালয়
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দলটির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে নতুন করে সরগরম হয়ে ওঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ‘দুই শতাধিক’ নেতাকর্মী জড়ো হন। তাদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালও ছিলেন।
কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মহিলা দলের সভানেত্রী নূরে আরা সাফা, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও বহিষ্কৃত নেতা মেজর আকতারুজ্জামান রঞ্জন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ, সদ্য কারামুক্ত যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
এ ছাড়াও ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমানও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদে অংশ নেন।
মিলাদ শেষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল তাকে দলীয় সমর্থন দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে তিনি সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে কার্যালয়ে কোরআনখানি করা হয়। বাদ আসর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। ২৭ জানুয়ারি তার লাশ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
৩ জানুয়ারি রাতে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই রাতে কার্যালয়ে তালাও ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর থেকে বিএনপির কোনো নেতারা কার্যালয়মুখো হননি। ৪ এপ্রিল সন্ধ্যার পর দলটির সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীনের নেতৃত্বে কয়েক নেতাকর্মীরা নিচতলার কলাপসিবল গেটের তালা ইলেক্ট্রিক করাত দিয়ে কেটে তিন মাস পর কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।