দাফনের প্রস্তুতি শেষ, শেরপুরে যাচ্ছেন না স্ত্রী-ছেলে
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে শেরপুরের বাজিতখিলা গ্রামে তার প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার পাশে দাফন করা হবে। দাফনের প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। ফাঁসি কার্যকরের পর তার লাশ এ্যাম্বুলেন্সে করে শেরপুরে নেওয়া হবে।
নিরাপত্তার কারণে কামারুজ্জামানের স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ পরিবারের কেউই যাচ্ছেন না সেখানে।
কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বলেন, ‘বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী তার লাশ শেরপুরের নিজ গ্রামে নেওয়া হবে। বাজিতখিলা মুদিপাড়া এলাকায় এতিমখানার পশ্চিম পাশে দাফন করা হবে। এ জন্য চাচা-জ্যাঠারাসহ অন্যান্যরা চলে গেছেন। সেখানে অন্যান্য আত্মীয়স্বজন যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে আমরা দুই ভাই, আম্মা-বোনসহ কয়েকজন সেখানে যাচ্ছি না। আব্বাও এ ব্যাপারে মানা করেছেন। এ ছাড়া সংগঠনও (জামায়াত) বলেছে, আমরা যেন না যাই। কারণ আমরা গেলে আওয়ামী লীগ বা সরকারের লোকজন গণ্ডগোল করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার আব্বা নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। মেধার রাজনীতি করার কথা বলেছেন। তিনি ইসলামী আন্দোলনের বিজয় দেখতে চেয়েছেন।’
এর আগে শনিবার বিকেল ৪টা ০৮ মিনিটে দু’টি গাড়িতে করে কামারুজ্জামানের স্ত্রী নূরুননাহার বেগম, বড়ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী, মেজছেলে হাসান ইমামসহ পরিবারের ১৫ জন সদস্য কারাগারে যান। সেখানে আগে থেকেই আরও ৬ জন স্বজন উপস্থিত ছিলেন। মোট ২১ জন কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা সাক্ষাৎ শেষে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে তারা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় তারা ভি (বিজয়) চিহ্ন দেখান।
গত সোমবার হাইকোর্টে রিভিউয়ের রায়ে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল থাকার পর ওইদিন সন্ধ্যায় স্ত্রী, ছেলেমেয়েসহ পরিবারের ১২-১৫ সদস্য কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে শনিবার দুপুর থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্বাহী আদেশ কারাগারে পৌঁছেছে।