স্বাগত ১৪২২
সময়ের পরিক্রমায় আরেকটি বছরকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত সারাদেশ। মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে নতুন বাংলা বছর ১৪২২।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী-নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পুরানো বছরকে বিদায় জানিয়ে স্বাগত জানাবে নতুন বছরকে। আবহমান বাঙলার বৈচিত্র্যময় গানে-রঙে মাতবে উৎসবে।
পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ঢাবির চারুকলা অনুষদে থাকছে সবচেয়ে বড় আয়োজন। এ উপলক্ষে অনুষদটিতে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার চৈত্রসংক্রান্তি উদযাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম দিনের আয়োজন। নুতন বছরকে বরণ করতে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ‘অনেক আলো জ্বালতে হবে মনের অন্ধকারে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে বের হয়ে রূপসী বাংলা হোটেল চত্বরে ঘুরে আবার চারুকলার সামনে এসে শেষ হবে।
এছাড়া বুধবার সন্ধ্যায় চারুকলার শিক্ষার্থীদের অভিনয়ে মঞ্চস্থ হবে যাত্রাপালা, বসবে লোকগানের আসর।
এদিকে চৈত্র সংক্রান্তি এবং পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাবির বাংলা বিভাগ ও বাংলা বিভাগের অ্যালামনাই এর উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বাংলা বিভাগের করিডোরে চৈত্রসংক্রান্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে সংগীতানুষ্ঠান, নৃত্য, কৌতুকাভিনয় অনুষ্ঠিতম হবে। মঞ্চস্থ হবে মাইকেল মধুসুদন দত্তের ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এবং সেলিম আল দীনের ‘কীত্তনখোলা’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগও চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিভাগটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নৃত্য-গীত-বাদ্য শৈলীর মুক্ত প্রদর্শিত হবে। এছাড়া নাটমণ্ডলে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে ‘চম্পকনগরের উপকথা’।
ছায়ানট : মঙ্গলবার ভোরে রমনার বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সকাল ছয়টায় শুরু হবে এই আয়োজন। এতে বৈশাখের গানের পাশাপাশি সম্মিলক গান, একক গান, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করবেন ছায়ানটের শিল্পীরা।
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী : ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ এই শ্লোগানে বাংলা নতুন বছর ১৪২২ উদযাপনে বাসাবো বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠানমালা। সকাল ৭টায় সংগঠনের শিল্পীদের দলীয় পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর থাকবে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন শাখা সংসদের শিল্পীদের পরিবেশনা। এতে রয়েছে একক সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও লাঠিখেলা।