নববর্ষে উৎসব ভাতা দাবি
বাঙালীর হাজার বছরের জাতীয় উৎসব উদযাপনে সরকারি ছুটির পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উৎসব ভাতা প্রচলনের পক্ষে মত দিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
তারা মনে করেন, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে দুই ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে ছুটির পাশাপাশি উৎসব ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু বর্ষবরণ বাঙালীর জাতীয় উৎসব উদযাপনে শুধু ছুটির ব্যবস্থা থাকে। বাঙালীর এ উৎসব উদযাপনের জন্য উৎসব ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা এখন সময়ে দাবি।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের মূল বেতনের বিষয়ে সরকার ও মালিকপক্ষ এখনো কোনো সম্মানজনক পরিমাণ নির্ধারণ করেনি। পয়লা বৈশাখ বাঙালীর জাতীয় উৎসব। এই উৎসব উদযাপনে শুধু সরকারি ছুটি দিলেই হবে না; উৎসব উদযাপনের জন্য উৎসব ভাতা দিতে হবে।
মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলনের আহ্বায়ক স্বরূপ হাসান শাহীন বলেন, বর্ষবরণের মতো জাতীয় উৎসবে ভাতার ব্যবস্থা থাকলে ভাল হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে অনেক সঙ্কট এখনো আছে। আমরা গরিব মানুষের জন্য এখনো শিক্ষা, চিকিৎসা, আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। বর্ষবরণের মতো এমন একটি জাতীয় উৎসব উদযাপনে ভাতার ব্যবস্থা করা হলে ভাল হয়।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, বর্ষবরণ বাঙালীর সর্বজনীন উৎসব। এ উৎসব উদযাপনে কোনো ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকে না। আমি মনে করি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ভাতা দেওয়া উচিত। জাতীয় এই উৎসবকে ভাতা দিয়ে উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা গড়ে তোলা সম্ভব। আমার প্রতিষ্ঠানে আমি সামান্য ভাতা দিয়ে থাকি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, বাঙালী জাতির হাজার বছরের ঐতিহ্য বাংলা বর্ষবরণ। এ উৎসব উদযাপনটাই বড় বিষয়। সেক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে উৎসব ভাতার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ভাতার ব্যবস্থা হলে ভালই হয়।