বিধবাদের সঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের নববর্ষ উদযাপন
সোহাগপুরের বিধবাদের সঙ্গে নববর্ষের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে প্রায় একশ সদস্যের একটি দল মঙ্গলবার দুপুরে বিধবা পল্লীতে পৌঁছান। এ সময় বিধবাদের সঙ্গে তারা কুশল বিনিময় করেন এবং ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়া কিছু উপহার তাদের হাতে তুলে দেন। উপহারের মধ্যে ছিল- শাড়ি, গামছা, বিছানার চাঁদর ও সাবানের পাশাপাশি মোয়া, মুড়ি ও সন্দেশের প্যাকেট।
পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সেখানে ইলিশ-পান্তার আয়োজন করা হয়। বিধবা মায়েদের সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে তা খান মঞ্চের কর্মীরা। পরে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
ইমরান এইচ সরকার এ সময় দাবি করেন, শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নয়, একাত্তরে স্বজনহারা মায়েদের নামও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় লিপিবদ্ধ করতে হবে।
শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুরের এসব নারীদের স্বামীহারা করেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলেছেন যুদ্ধকালীন আল বদর কমান্ডার মুহাম্মদ কামারুজ্জামান।
একাত্তরের ২৫ জুলাই ভোরে কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে সোহাগপুর গ্রামের ১২০ পুরুষকে হত্যা ও গ্রামের নারীদের ধর্ষণ করা হয়। নির্মম ওই হত্যার অভিযোগে আপিল বিভাগের চার বিচারপতি সর্বসম্মতভাবে কামারুজ্জামানকে দোষী সাব্যস্ত করে তার ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন, যা রিভিউ আবেদনেও বহাল থাকে। ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ৩০ মিনিটে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়।