সাভারে যুবলীগের সংঘর্ষ, ১০ গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
সাভার পৌর এলাকায় যুবলীগের দু’গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
১নং ওয়ার্ড কমশিনার ও যুবলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন মোল্লার কার্যালয়ের সামনে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন— যুবলীগ নেতা ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা (৪৫), স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৩৫), ছেলে অন্তর মোল্লা (২০), প্রতিবেশী রাজীব (২২), মিজান (৩০), জসীম (২৫), শরিফ (২৮), দেলোয়ার (৩২), মামুন (২৬), মনির হোসেন (৩৮), ফরিদ (৩২) ও মোকলেস (২৯)।
সরেজমিন জামসিং এলাকায় দেখা যায়, যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় আশপাশের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তায় অসংখ্য ইটের টুকরা ও লাঠিসোটা পড়ে আছে। বিভিন্ন বাড়িঘরে ভাঙচুর ও গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
গুলিবিদ্ধ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কার্যালয়ে বসে এলাকাবাসীকে সেবা দিচ্ছিলাম। এ সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই উপজেলা যুবলীগের ১নং আহ্বায়ক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকশ’ লোক লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাসা ও অফিসে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে তাদের মারধরসহ স্থানীয় দোকানপাট ও বাসাবাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে যুবলীগ নেতা নজরুল তার শটগান দিয়ে গুলি চালালে আমিসহ কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছি।’
আহত অন্তর মোল্লা জানান, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম আমাদের বাড়িতে হামলা চালালে আমার বাধা দেই। এ সময় তারা আমাদের বাড়িতে কয়েকশ’ রাউন্ড গুলি ছোড়ে ও বাড়ির সামনে পার্কিং করা একটি হায়েস গাড়ি ভাঙচুর করে।
যুবলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দেন।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জামসিং এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে আসার সময় কমিশনার মিনহাজ লোকজন নিয়ে আমার ওপর হামলা চালান। এতে আমার কিছু লোক আহত হন। এ সময় নিজেকে বাঁচাতেই আমার লাইসেন্স করা শটগান দিয়ে গুলি ছুড়লে প্রতিপক্ষের কয়েক ব্যক্তি আহত হন।’
সাভার মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।