‘খালেদা কোন মুখে ভোট চাইতে নামেন’

Pmবিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে খালেদা জিয়ার প্রচারণার অংশ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একহাজার বাস কিনলাম, আর্টিকুলেটেড বাস কিনেছিলাম মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে। খালেদা জিয়া সেই বাস পুড়িয়ে দিল। কোন মুখে আবার সেই বাস মার্কায় ভোট চাইতে নামেন। পত্রপত্রিকায় তার এত সংবাদ কিভাবে প্রচার করে তা বোধগম্য নয়।’
রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে রবিবার বিকেলে কৃষক লীগের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তাকে (খালেদা) বলেছিলাম, আগুন নিয়ে খেলবেন না, আপনার হাত পুড়বে। তিনি আগুন দিয়ে বাস পুড়িয়েছেন। এখন দেখি তিনি সেই বাস মার্কা বিলি করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। ট্রেনের ডাবল লাইন উদ্বোধন করলাম। অর্থাৎ উন্নয়নের কাজ উদ্বোধন করলাম। সেটা ভালো কাভারেজ পেল না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বিষয় বুঝি না। সাংবাদিকরা কি তাকে খুব পছন্দ করেন? যে আগুনে মানুষ পোড়াবে, দুর্নীতি করবে, এতিমের টাকা মেরে খাবে, তার জন্য? যিনি বাস পোড়ালেন, মানুষ হত্যা করলেন তার বিশাল বিশাল ফটো পত্রিকায় ছাপা হলো।’
তিনি বলেন, ‘আমার উন্নয়ন কাজ আকর্ষণ করতে পারল না, আকর্ষণ করল খালেদা জিয়ার লাল টুকটুকে শাড়ি। যে বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সেই বাসের পোস্টার। এতদিন বিলি করেছেন ককটেল বোমা। আবদুল আউয়াল মিন্টুর টাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ পোড়ানো হয়েছে। মানুষ পোড়ানোর কাজে সেই টাকা ব্যবহার হয়েছে। সেই টাকায় মানুষ পোড়ালে হেড লাইন পাওয়া যাবে। উন্নয়নের কাজে প্রচার নেই কেন? এত দৈন্য কেন? যে মানুষ পোড়ায় তাকে মানুষ ঘৃণা করে, তিনি ঘৃণিত ব্যক্তি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলতে পারেনি, ব্যবসা করতে পারেনি, সেই দোকানদার দেখি হাসছেন। লোকসান যে হলো সেটা কি ভুলে গেল? যিনি ধ্বংস করবেন, মানুষ মারবেন, খুন করবেন ওনাকেই ভাল লাগে? অদ্ভুত এক দেশে আমরা বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘সবাই উন্নয়ন চায়। উন্নয়ন করলে পাবলিসিটি পাওয়া যায় না। পাবলিসি পায় যে মানুষ হত্যা করে। ছয় ঋতুর দেশ, দুইমাস পর পর ঋতু বদল হয়, মানুষও দুই মাস পর পর সব ভুলে যায়।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি ধ্বংসের রাজনীতি করে। গুলশান এলাকায় সরকার থেকে যে জায়গা নিয়েছে, সেটি ভাড়া দিয়ে খায়। তার দলের এক নেতার বাসা দখল করে আছে। সেটি রেখে এলো পার্টি অফিসে। ৯২ দিন সেখানে থাকল। আওয়ামী লীগ সরকাকে উৎখাত না করে তিনি নাকি ঘরে ফিরবেন না। এখন আমার জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে ঘরে কি ফেরেননি? আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায় আছে।’
কৃষক লীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ছবি বিশ্বাস, ড. মির্জা জলিল, খান আলতাব হোসন ভুলু, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল লতিফ তারিন, সাখাওয়াত হোসেন সুইট, আতিকুল হক আতিক, আজম খান প্রমুখ।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend