শেরপুরে প্রেমের টানে উধাও : প্রেমিকের পিতা ও বড় ভাই রিমান্ডে ; মা হাজতে
শেরপুরে টিনএজার প্রেমের টানে নায়কের হাত ধরে নায়িকা উধাও হলেও তারই পিতার দায়ের করা অপহরণ মামলায় নায়কের পিতা ও বড়ভাইসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ২০ এপ্রিল সোমবার দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফুল ইসলাম উভয় পক্ষের শুনানী শেষে প্রত্যেককে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা হচ্ছেন শহরের নবীনগর এলাকার মোঃ হানিফ উদ্দিন (৪৮), তার জ্যেষ্ঠ পুত্র বুরহান উদ্দিন হৃদয় (২০) ও হৃদয়ের বন্ধু হিসাম (২০)।
অন্যদিকে একই মামলায় দুগ্ধপোষ্য এক শিশু সন্তানসহ জেলহাজতে রয়েছেন নায়কের মা বিনা বেগম (৪৫)।
ঘটনাটি দু’দিন যাবত ‘টক অব দি টাউন’ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।
জানা যায়, শেরপুর শহরের নবীনগর এলাকার হানিফ উদ্দিনের কলেজপড়–য়া পুত্র জিহান (১৬) এর সাথে স্থানীয় বাগরাকসা এলাকার ডাক্তার-অধ্যাপক দম্পতির চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কন্যার (১৫) বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। ওই সম্পর্কের সূত্রে একাধিক দফায় মেয়েটি নায়ক জিহানের বাসায় গিয়ে উঠলে অভিভাবকদের মধ্যস্থতায় তাকে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু এরপরও অবুঝ প্রেমের শেষ পরিণতি ঘটে। সম্প্রতি মেয়েটি তৃতীয় দফায় জিহানের হাত ধরে উধাও হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, ওই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মেয়েটির ডাক্তার বাবা জিহান ও তার বাবা-মাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন এবং স্বনামে ৫ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় অপহরণ ও সহায়তার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শনিবার জিহানের বড় ভাই ও একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী বুরহান উদ্দিন হৃদয়কে আসামী না হওয়া স্বত্বেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে রবিবার জিহানের বাবা হানিফ উদ্দিন ও মা বিনা বেগম আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে একদল পুলিশ বিচারক এজলাসে উঠার পূবাহ্নে আদালত কক্ষ থেকেই হানিফ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আর জামিন শুনানী অন্তে দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তানসহ বিনা বেগম যায় জেল হাজতে। একই মামলায় রবিবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার দেখায় জিহানের বড় ভাইয়ের বন্ধু হিসামকে। তবে এখনও গ্রেফতার হয়নি মূল আসামী জিহান ও উদ্ধার হয়নি ভিকটিম। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, টিনএজার হলেও তারা বিয়ে করে লাপাত্তা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় পিতা, মা ও ভাই-বোনদের কোন সম্পৃৃক্ততা নেই। এরপরও গোটা পরিবারটিকেই হয়রানীর করা হচ্ছে।