পাকিস্তানের বিপক্ষে সব জয়ের সাক্ষী
পাকিস্তানের বিপক্ষে সবগুলো জয়ের সাক্ষী সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনে পাকিস্তানকে হারানোর ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। বল ও ব্যাটে মাঠে লড়েছেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে; হয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জয়ের সাক্ষী।
এবার টানা ২ ম্যাচে দলের ম্যানেজার হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের সাক্ষী হয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। এই বিষয়ে সোমবার সঙ্গে আলাপকালে স্মৃতিরোমন্থন করেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
১৯৯৯ বিশ্বকাপের প্রশ্ন উঠতেই কন্ঠস্বর আবেগী হয়ে উঠেছে তার। ওই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত সে দিনটির কথা আমি ভুলতে পারিনি। আমরা তখন মাত্রই খেলতে শুরু করেছি। অন্যদিকে, পাকিস্তান দলে তখন তারকার ছড়াছড়ি। এ ছাড়া পাকিস্তান দলটি ওই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দলও ছিল। ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনুস-সাঈদ আনোয়ার-ইনজামামের মতো এত বড় মাপের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে পারছি; এটা ভেবেই আমরা উচ্ছ্বসিত ছিলাম। আর তাদের হারিয়ে দেওয়ার মুহূর্তটি আজও ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আর ওই ম্যাচে সেরা হওয়া আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত।’
১৯৯৯ সালের জয়; এরপর অপেক্ষা ১৬ বছর। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয় ধরা দিল গত ১৭ এপ্রিল; তৃতীয় জয় এসেছে ১৯ এপ্রিল। আর তাতেই বাজিমাত। সিরিজ বাংলাদেশের পকেটে। তবে দ্বিতীয় জয় পেতে এতদিন অপেক্ষা করতে হবে এটা ভাবেননি খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে যখন পাকিস্তানকে হারালাম তখন স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি যে তাদের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয় পেতে আমাদের এত লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদিও মাঝে বেশ কয়েকবার সুযোগ এসেছিল, কিন্তু বারবার সেগুলো হাত ফসকে গেছে। মুলতান টেস্টেই দ্বিতীয় জয়টা আসতে পারত। এরপর ২০১২ সালের এশিয়া কাপে ২ রানের আক্ষেপ; সর্বশেষ গত বছর ৩২৬ করেও জিততে না পারা। এর সবগুলোই বড় আফসোসের বিষয়।’
তবে এসব ম্যাচে জয় পেলে হয়তো পাকিস্তান বধের সব ম্যাচের সঙ্গী হওয়া হতো না তার। এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতেই মুখে স্মিত হাসি সুজনের। এরপর তৃপ্তির স্বরেই বললেন, ‘আসলে, প্রথম জয় আর শেষ ২টি জয়ের মাঝে আমার ব্যক্তিগত অনুভূতিতে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তখন জয় পেয়েছি মাঠে থেকে। নিজের পারফরম্যান্সে হয়েছিলাম ম্যান অব দ্যা ম্যাচ। আর এবার জয় দেখেছি ড্রেসিং রুমে বসে। যদিও দুটি দলেরই হয়তো সদস্য আমি। তবে আমার কাছে বরাবরই প্রথম জয়টি এগিয়ে। আর দ্বিতীয় জয়টি; এটা তো আসলে দূর্ভাগ্যকে পিছনে ফেলার অনাবিল আনন্দ।’
এদিকে, ম্যানেজার হিসেবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি খালেদ মাহমুদ সুজন। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘পুরো দলটি টিম হিসেবে খেলছে। সবার মধ্যেই জয়ের আকাঙ্খা বিদ্যমান রয়েছে। আমার বিশ্বাস, এখান থেকেই নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। সামনের সিরিজগুলোতে এমন ধারাবাহিকতা রক্ষা করাটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের।’