ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালবৈশাখীতে একজনের মৃত্যু
জেলার দুই উপজেলার কয়েকটি গ্রামে মঙ্গলবার রাতে কালবৈশাখীতে একজন মারা গেছেন ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। তালশহর ও বড়হরন এলাকায় গাছ ভেঙে রেলপথের ওপর পড়লে দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাত ১০টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকশ ঘরবাড়ি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা জানান, সাড়ে ৮টার দিকে ঝড়ে দেয়াল ভেঙে নবীনগর পৌর শহরের নারায়ণপুর গ্রামের আবদুল মন্নাফ (৬০) নামের এক বৃদ্ধ মারা যান। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। তাদের নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৮টি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৫টি ইউনিট চালু হলেও এখনও ৩টি ইউনিট বন্ধ রয়েছে বলে জানান আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আলম। তিনটি ইউনিট চালুর চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
এ ছাড়া আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক জানান, রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কালীসীমা, তালশহর ও বড়হরন এলাকায় গাছ ভেঙে রেলপথের ওপর পড়লে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। রাত ১০টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর ও কসবা উপজেলায় কালবৈশাখী আঘাত হানে। ঝড়ে ওইসব উপজেলার কয়েকশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে।
কসবার বাদৈর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মারুফ জানান, তার ইউনিয়নের মান্দারপুর, হাতুড়াবাড়ী গ্রামে ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতুড়াবাড়ী গ্রামে ২টি গরু মারা গেছে। মান্দারপুর গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিধ্বস্ত হয়েছে। দুটি গ্রামে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবীনগরে নিহতের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।