শেরপুরে কালবৈশাখীতে ঘর ও গাছচাপায় দুজনের মৃত্যু ॥ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
গত রাতে শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর ও গাছ চাপা পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন শ্রীবরদী উপজেলার হেরুয়ার হায়দর আলী (৫৫) ও রানী শিমূল ইউনিয়নের ৬ বছরের শিশু কাজলী।
এছাড়াও ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘরবাড়ী, গাছপালা ও বোরো আবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সারা জেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার।
প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝড়ের সময় ঘরের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়লে ঘুমন্ত অবস্থাতেই মারা যায় শ্রীবরদী উপজেলার রানী শিমূল ইউনিয়নের ৬ বছরের শিশু কাজলী। এদিকে নালিতাবাড়ীর কলসপাড়ের তারাকান্দায় জমির ধান কাটতে কামলা হিসাবে কাজে যায় হায়দর আলী। রাতে ঘুমানোর সময় বিশাল এক কড়ই গাছ ঘরের উপর ভেঙ্গে পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। পরে স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশও।
এদিকে ঝড়ে জেলার নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদীর বিভিন্ন এলাকায় বোরো আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কাচা ঘরবাড়ী। ভেঙ্গে পড়েছে প্রচুর পরিমানে ফলদ ও বনজ গাছপালা।
শেরপুরের বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুতের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন জানিয়েছেন, ‘ঝড়ে নিহতদের পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে ১০ হাজার টাকা করে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের পর প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’