শ্রীবরদীতে কালবৈশাখীর ছোবলে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু গাছপালা,বাড়ি-ঘর, বিদ্যুৎ লাইন ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
মঙ্গলবার গভীর রাতে সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের ছোবলে ঘর চাপা পরে রানিশিমুল ইউনিয়ের হাঁসধরা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে কাজলি বেগম (৬) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। সে হাঁসধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রি। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৬ শতাধিক বাড়ি-ঘর, গাছপালা, আধাপাকা বোরো ফসল ও বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি ও তার দুমড়ে মোচড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। এতে করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি প্রবাহিত কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে হাঁসধরা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে কাজলি ঘর চাপা পরে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নের বাড়ি-ঘর, গাছপালা, আধাপাকা বোরো ফসল ও বিদ্যুতের খুঁটি এবং তার দুমড়ে মোচড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবা শারমিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুনা রায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ও সহকারি শিক্ষা অফিসার ফরহাদ আলী ঝড়ে নিহত কাজলির বাড়িতে গিয়ে শোকাহত পরিবারকে শান্তনা ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান ঝড়ে ১ স্কুল ছাত্রি নিহত হয়েছে, প্রায় ৬ শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার ধর জানান, ঝড়ের তান্ডবে বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতেকরে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আমাদের লোকজন কাজ করছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে যাবে।