নকলায় কালবৈশাখী ঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
২২ এপ্রিল বুধবার মধ্যরাতে শেরপুরের নকলা উপজেলার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ায় স্কুল মাদ্রাসাসহ গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উপজেলার ২টি ইউনিয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সবকটি ইউনিয়নে কাচা ঘরবাড়ি, গাছপালা, সবজি ও বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোন প্রানহানির ঘটনা ঘটেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৩নং উরফা ইউনিয়নে লয়খা খিচা রাণীশিমুল এমদাদিয়া দারুসুন্নাহ মাদ্রাসা ও ৫নং বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ভূরদী গ্রামের বঙ্গবন্ধু বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝড়ে লন্ডবন্ড হয়ে পাঠদানে বাধার সম্মুখীন এই দুই প্রতিষ্ঠান। দারুসুন্নাহ মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মাও. মো: জামাল উদ্দিন জানান আমার মাদ্রাসায় ২শ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, তন্মধ্যে ৫০জন শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসে অবস্থান করে। ১১০ হাত টিন সেট মাদ্রাসা ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে যাওয়ায় কমপে ৫ল টাকার ক্ষতিসহ একটি সৌর প্যানেল, ১২/১৫টি কাস্টল ও ফলজ গাছ ভেঙ্গে যায়। ছাত্রাবাস এবং মাদ্রাসার ভবনটির চাল ঝড়ে অন্যত্র চলে গেলে ঘরের আসবাবপত্র, কুরআন শরিফ, বিভিন্ন কিতাবসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ভিজে গেছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আসবাবপত্র এবং তাদের কিতাব খোলা মাঠে শুকানোর ব্যবস্থা করছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম তালুকদার ভূট্টো, নকলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানটি পুননির্মানে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। এছাড়াও উপজেলার ৭নং টালকী ইউনিয়নের ফুলপুর এলাকায় রইছ উদ্দিন খান ও আবুল কাশেমের বসতঘর এবং আ: হান্নান ও আ: হাালিমের রান্নাঘর ও গোয়ালঘরসহ গাছপালা ভেঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে টালকী ইউনিয়নের আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: বেলায়েত হোসেন আকন্দ এই প্রতিবেদককে জানান। অপর দিকে দধিয়ারচর চর মধুয়া নামা পাড়া দাখিল মাদরাসার নিজস্ব ৫টি কাস্টল গাছ ও ফাট-কাম একাডেমীর তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে ১হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পানির ট্যাংকি নিচে পড়ে ভেঙ্গে যায়। যা দিনের বেলায় এ ঘটনাটি ঘটলে শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারত বলে সচেতন মহল ধারনা করছেন।