মাদারীপুরে সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ আহত ১৪
মাদারীপুর সদরের চরমুগরিয়া বন্দর এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুই দফায় পাশের হাজরাপুর গ্রামবাসীর হামলায় অর্ধশতাধিক বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিন পুলিশসহ ১৪জন আহত হন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ১২ জনকে।
আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫২ রাউন্ড গুলি ও দুই রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ভিষ্ম কুমার দেবনাথ বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল তৌফিকুল ইসলাম ও অনিমেষ বিশ্বাস। আহত অন্যান্যরা হলেন- ইসমাইল তালুকদার, মরিয়ম বেগম, রানা তালুকদার, সজিব তালুকদার, মনির কবিরাজ ও নাহিদ খোন্দকার। বাকিদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
আটকরা হলেন- সজিব মাতুব্বর, হাসান মাতুব্বর, উজ্জ্বল বেপারি, আরিব কবিরাজ, হাবিব কবিরাজ, ওয়াসিম মাতুব্বর, রুবেল হাওলাদার, ইমন খান, জাফর ইকবাল, রাসেল বেপারী, সজল মুন্সী ও শাহাদাত হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে চরমুগরিয়া বন্দরের সরকারি জায়গার একটি আমগাছ থেকে আম পাড়তে বাঁধা দেওয়া হলে ক্ষিপ্ত হয় হাজরাপুর গ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী। তারা শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে চরমুগরিয়া এলাকার পার্শ্ববর্তী হাজরাপুর গ্রামের আকতার মাদবর ও মোশারেফ সরদারের নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ চরমুগরিয়া বন্দরের পুরানবাজার আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে নয়টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে চলে যায়। পরে দুপুর ১টার দিকে আবার দ্বিতীয় দফা হামলা করে আরও অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় বাধা দিতে আসলে তিন পুলিশ সদস্য ও ১১ গ্রামবাসী আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ১২ জনকে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে চরমুগরিয়া ফাঁড়ি, সদর থানা পুলিশ, র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫২ রাউন্ড গুলি ও দুই রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় আহত হয় তিন পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’