পাত্তাই পেল না সেরা ৩
আক্ষেপ করতেই পারে পাকিস্তান। দলে রয়েছে টোয়েন্টি২০ বিশ্বের সেরা ৩ বোলার। অথচ বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও তরুণ সাব্বির রহমান তাদের নিয়ে কি ছেলেখেলাটাই না করলেন! কি বেধড়ক পিটুনিই না খেলেন শহিদ আফ্রিদি-উমর গুল-সাঈদ আজমলরা। আর তাদের ধোলাই দিয়ে টোয়েন্টি২০ ক্রিকেটে চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৫ রানের রেকর্ডও গড়ে ফেললেন সাকিব-সাব্বির।
অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অভাব। তারুণ নির্ভর দল। তাই ভাল করতে পারছে না। বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে সিরিজে ‘বাংলা ধোলাই’ খাওয়ার পর এমন যুক্তি দেখিয়ে স্বান্তনা খুঁজতে পারে পাকিস্তান। কিন্তু শুক্রবার টোয়েন্টি২০ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে আরেকবার নাকানি-চুবানি খাওয়ার পর কি যুক্তি দেখাবে পাকিস্তান? এবারে তো পাকিস্তানের দলটি মোটেও দুর্বল ছিল না। শহিদ আফ্রিদি, সাঈদ আজমল, সোহেল তানভির, মোহাম্মদ হাফিজ, আহমেদ সেহজাদ, ওয়াহাব রিয়াজে গড়া দলটি ছিল শক্তিপূর্ণই। সবচেয়ে বড় কথা, পাকিস্তানের এই দলে থাকা আফ্রিদি, আজমল ও সোহেল তানভির বর্তমানে আন্তর্জাতিক টোয়েন্টি২০ ক্রিকেটের সেরা ৩ বোলার। সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারী বোলাদের তালিকার প্রথম ৩টি স্থানই দখল করে রেখেছেন তারা। কিন্তু শুক্রবার তারা পাত্তাই পাননি সাকিব-সাব্বিরের উদ্ভাসিত ব্যাটিংয়ের সামনে।
এই ৩ বোলারের মধ্যে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি পিটুনি খেয়েছেন মোট ৮৩ উইকেট নিয়ে বিশ্ব সেরা টোয়েন্টি২০ বোলারের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে থাকা উমর গুল। তার ২ ওভার থেকেই ২৩ রান তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ৮১ উইকেট নিয়ে তৃতীয়স্থানে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক আফ্রিদি দিয়েছেন ৩ ওভারে ২৫ রান। আর ৮৫ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে থাকা আজমল ৩.২ ওভারে খরচ করেছেন ২৫ রান। অবশ্য ম্যাচে সবচেয়ে বেশি পিটুনি খেয়েছেন ইনিংসের প্রথম ওভারটি করা মোহাম্মদ হাফিজ। তার প্রথম ওভারের ৩ বলেই ১ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ১৪ রান তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।
দলের সেরা বোলারদের কপালে এমন মার জুটলে ম্যাচ কি আর জেতা যায়! পাকিস্তানের আক্ষেপ না করে কি উপায় আছে?
সাবাশ বাংলাদেশ। সাবাশ সাকিব-সাব্বির।