জব্বারের বলী খেলায় দশমবারের মতো বিজয়ী দিদার
চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলী খেলায় দশম বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন কক্সবাজারের দিদার বলী। শনিবার বিকেলে এই খেলায় ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার অলী বলীকে সহজেই হারিয়ে বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন দিদার বলী।
এর আগে ২০০২ সালে কক্সবাজারের উখিয়ার ছিদ্দিক বলীর সঙ্গে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হন দিদার বলী।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান সৌমেন মিত্র ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) কামরুল আমীন প্রমুখ।
বিজয়ী দিদারের হাতে ১৫ হাজার টাকার ও রানার্স আপ অলীর হাতে ১০ হাজার টাকার চেক ও প্রত্যেককে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি সৌমেন মিত্র। এছাড়া প্রথম রাউন্ডে জয়ী প্রত্যেককে ক্রেস্ট ও এক হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়।
এবারের বলী খেলায় ১০৬ তম আসরে ১৫ থেকে ৭৯ বছরের ৭৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৭৪ জন নক-আউট পদ্ধতিতে খেলেন ও চার জন সরাসরি সেমিফাইনালে খেলেন।
সেমিফাইনালে গতবারের রানার্স আপ নারায়ণগঞ্জের হাবিবুর রহমানকে সহজেই পরাজিত করে ফাইনালে ওঠেন দিদার বলী। আর মহেশখালীর হাশেম বলীকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠেন আলী। অলীর সঙ্গে দিদারের ফাইনাল খেলাটি মাত্র সাড়ে চার মিনিটেই সমাপ্তি করে দিয়ে দশম বারের মতো শিরোপা জিতে নেন দিদার। হাজারো দর্শকের করতালি ও ঢোলের তালে তালে চলতে থাকে বলী খেলা।
২০০৭ সালে মর্ম সিংকে হারিয়ে প্রথম একক শিরোপার স্বাদ পান দিদার। তবে ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বহিষ্কৃত ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে পুনরায় অংশ নিয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসছেন দিদার।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতে ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১২ বৈশাখ এই বলী খেলার আয়োজন করেন স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর। সেই থেকে বৈশাখ মাসের ১২ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই বলী খেলা।