ভূঞাপুরে পিতার সামনে ২ মেয়েকে গণধর্ষণ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক সংঘবদ্ধ ডাকাতদল নৌকা থামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পিতার সামনে তার দুই মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ধর্ষিত মেয়ে দু’টির বাবা বাদী হয়ে ২৬ এপ্রিল রবিবার রাতে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামী করে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৩ এপ্রিল বৈশাখ উপলে ওই দুই মেয়েসহ তাদের বাবা বাড়িতে বেড়াতে যান। এরা দুইজনই ঢাকার একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরীতে কাজ করতো। ওইদিন উপজেলার গোবিন্দাসী থেকে নৌকাযোগে গাবসারার বেলটিয়াপাড়া যাওয়ায় সময় সংঘবদ্ধ ডাকাতদল তাদের পথ গতিরোধ করে। এ সময় তাদেরকে নৌকা থেকে নামিয়ে অন্য একটি নৌকাযোগে অন্যত্র ফাঁকা জায়গায় নিয়ে বাবার সামনেই তার দুই মেয়েকে গণধর্ষন করে। পরে তাদের পরনে থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণলঙ্কার, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরের দিন ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য সাইদুল ধর্ষিত মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল ফেরত দিয়ে ঘটনাটি যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ধর্ষণের ঘটনায় মেয়ে বাবা বাদী হয়ে আকাব্বর আলীর ছেলে নৌকা চালক সুজাল (২৮), চরবিহারী গ্রামের সুরমানের ছেলে রকমান (২২), পাষাণ মন্ডলের ছেলে নজরুল (৩০), আব্দুর রশিদের ছেলে আসাদুল (৩০) ও চান মিয়ার ছেলে সাইদুল এর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩জনের নামে ভূঞাপুর থানায় রবিবার রাতে মামলা দায়ের করে।
এ দিকে ধর্ষণের ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সোমবার প্রায় ৬ শতাধিক স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত ডাকাতদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
মামলার বাদী জানান, এখনো ডাকাতরা আমাকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। আমি আমার জানের নিরাপত্তা চাই। সেই সাথে ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারের ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলুল কবির জানান, দোষীদের ধরতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। রবিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কোন আসামীকে ধরতে পারেনি। তবে খুব দ্রুত গ্রেফতার করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।