৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে গুলিবিদ্ধ ২, আহত ৩
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা শুরুর আগে কেন্দ্রগুলোতে ঢোকা নিয়ে সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়েছেন। পুরান ঢাকার লালকুঠি ও কেএল জুবিলী স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ সাহিদ ও মো. আরিফ হোসেন ছোটনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- আরিফ হোসেন ছোটনের বড় ভাই আব্দুল মোমেন বাবু (৬০), তার ভাগ্নে ইয়াকুব শিকদার রাব্বি (৩৪) ও পোলিং অফিসার জজ মিয়া (৪০)।
এদের মধ্যে ইয়াকুব ও জজ মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষ দিচ্ছে। আরিফ হোসেন ছোটনের সমর্থক নাদিম হোসেন দাবি করেছে, বিকেল ৪টার পর মোহাম্মদ সাহিদ তার সমর্থকদের নিয়ে ভোট গণনায় কারচুপি করার জন্য কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করতে চাইলে ছোটনের আরেক ভাই শওকত হোসেন আজাদ তাদের বাধা দেয়। তখনই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে মোহাম্মদ সাহিদের সমর্থকরা এক পর্যায়ে গুলি ছোড়ে। তখন আরিফ হোসেন ছোটনের বড় ভাই আব্দুল মোমেন বাবু ও তার ভাগ্নে রাব্বি আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী দিলীপ জানান, মোহাম্মদ সাহিদ তার সমর্থকদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে নিলে আরিফ হোসেন ছোটনের সমর্থকরা বাধা দিলে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। তখন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে কয়েকজন আহত হন। তবে এরপরই র্যাব ও পুলিশ এক সঙ্গে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পোলিং অফিসার জজ মিয়া জানান, ভোট শেষে বের হওয়ার সময় বাইরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় এক রাউন্ড গুলি তার বাম পায়ে বিদ্ধ হয়। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। তবে কোন কোন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
আহত আব্দুল মোমেন বাবু জানান, তার ছোট ভাই আরিফ হোসেন ছোটন স্বতন্ত্র প্রার্থী। ৩৪ বছর কানাডায় ছিলেন তিনি। এবার প্রথম ভোট গ্রহণ দেখতে তিনি কেন্দ্রে যান। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মোহাম্মদ সাহিদের পক্ষের লোকজন মারধর করলে তিনি আহত হন।
ঢামেক হাসপাতালের ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোজাম্মেল হক বলেন, গুলিবিদ্ধ দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট থানায়ও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
মোহাম্মদ সাহিদের সমর্থক জুবিলী স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আব্দুস সালাম ফারুক বলেন, ছোটনের বড়ভাই আজাদ লালকুঠির কেন্দ্রে তার লোকজন নিয়ে অবস্থান করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় সাহিদ তাদের লালকুঠি থেকে বেরিয়ে আসতে বললে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে কয়েকজন আহত হন।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএমপির সহকারী কমিশনার (ওয়ারী) নুরুল আমিন বলেন, ঘটনার ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারব না। আমরা আসলে ঘটনার পরে এসেছি। আপনারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনাদের জন্য ডিএমপি মিডিয়া সেল রয়েছে, সেখানেও যোগাযোগ করতে পারেন।