‘সরকার আবারও তামাশা করেছে’ -চরমোনাই পীর
নির্বাচনের নামে সরকার জাতির সঙ্গে আবারও তামাশা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর এ মন্তব্য করেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ দেশ অচলাবস্থা বিরাজ করেছিল। এ রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য আমরা বুক ভরা আশা নিয়ে সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। সিটি নির্বাচন নিয়ে জাতি আশা করেছিল সরকার একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়ে জাতিকে অচলাবস্থা থেকে বের করে আনবে। কিন্তু যা ঘটল তাতে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়বে ছাড়া কমবে না। জাতি অবাক বিস্ময়ে দেখেছে যে, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভোট ডাকাতি, সীমাহীন অনিয়ম, জালিয়াতি, কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেছে এবং ইসলামী আন্দোলনের এজেন্টসহ বিরোধী দলের এজেন্টদের প্রহার করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে নির্বাচনের মাজা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সরকার ধ্বংস করে দিয়ে এটিকে আজ্ঞাবহ ও দলীয় কমিশনে পরিণত করেছে। নির্বাচনে জনগণের আগ্রহ ও ইচ্ছাকে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে নির্বাচন নিয়ে আর ভোটারদের কোনো আগ্রহ থাকবে না। এ ধরনের প্রহসনমূলক নির্বাচনের ফলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও ভোটের প্রতি অনীহা প্রকাশ করবে ফলে দেশ ক্রমেই ভয়াবহ সহিংসতার দিকে ধাবিত হবে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি, এতে করে জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘নির্বাচনের নামে সরকার জাতির সঙ্গে তামাশা করেছে। এতে করে আবারও প্রমাণিত হল, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। কাজেই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পুনরায় সংযোজন করতে হবে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ ও পুতুল হিসেবে পরিচয় দেওয়ায় অবিলম্বে সিইসির পদত্যাগ দাবি করছি।’