‘৩০০ রানই যথেষ্ট’
খুলনা টেস্টের প্রথম দিনের খেলা (মঙ্গলবার) শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৩৬ রান সংগ্রহ করেছে ৪ উইকেট হারিয়ে। এর মধ্যে মুমিনুল হকের অবদান ৮০ রান। দিনের শেষ বলে আউট হয়েছেন তিনি।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন মুমিনুল। ঠিক কত রানের লক্ষ্য দিলে পাকিস্তানকে আটকে রাখা সম্ভব? এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘উইকেট বিবেচনায় আমার মনে হয় ৩০০ রান হলেই যথেষ্ট হবে। এই উইকেটে স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বল করলে এটা সম্ভব। আমাদের বোলিং লাইন-আপ আগের চেয়ে অনেক ভাল। আমরা যদি লাইন-লেন্থ বজায় রেখে বোলিং করতে পারি তাহলে ৩০০ রানই যথেষ্ট স্কোর।’
শেষ ওভারে পাকিস্তান মুমিনুলের উইকেট তুলে নিল। নয়তো ৭ উইকেট হাতে রেখেই প্রথম দিন শেষ করতে পারত বাংলাদেশ। অবশ্য দিনশেষে দলকে খুব বেশী পিছিয়ে রাখলেন না মুমিনুল। তিনি বলেছেন, ‘যদি আমার উইকেটটা না যেত, আমরা খুব ভাল অবস্থানে থাকতাম। তারপরও বলব, আমরা ভাল অবস্থানেই আছি। এই অবস্থায় আমার উইকেটটা ওদের জন্য বোনাস পয়েন্ট।’
টানা ১০ টেস্টে ৫০ কিংবা এর বেশী রান করেছেন, এটা জানতেন কিনা? এ প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘এটা আমি জানিও না। আমার জানার দরকার মনে করছি না।’
শেষ ওভারে আউট হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি বলটা খুব বাজে খেলেছি। হয়তো আমি একটু ক্যাজুয়েল ছিলাম। তাই আউট হয়ে গেছি। অনেক সময় ধরে খেললে মাঝে মাঝে এমনটা হয়।’
প্রথম দিন বলেই কি দলের পরিকল্পনা ছিল স্লো শুরু করা? এ প্রশ্নে মুমিনুল বলেছেন, ‘স্লো খেলার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। এই উইকেটে রান করাটা অনেক কঠিন। বল নিচু হয়, একটু দেরিতে ব্যাটে আসে। উইকেটে টিকে থাকা গেলেও রান করাটা অনেক কঠিন।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘এই উইকেটে বেশি জোরাজুরি করলে রানও হবে না, উইকেটও হারাব। এর চেয়ে ভাল, টিকে থেকেই রান করার চেষ্টা করা। যা দলের জন্যও ভাল হবে এবং দেশের জন্যও ভাল হবে।’
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে কার বল কঠিন মনে হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে সবাইকেই কঠিন মনে হয়েছে। আর ওরা খুব ভাল জায়গায় বল করেছে। খারাপ বল খুব কমই দেয়। নাম বলতে হলে বলব ওহাব রিয়াজের কথা।’