মুশতাকের ‘তড়িঘড়ি’ ছুটে আসা এবং…
দ্বিতীয় দিনের খেলা মাত্রই শেষ। ড্রেসিংরুম থেকে তড়িঘড়ি করে কনফারেন্স রুমের দিকে ছুটে আসছিলেন পাকিস্তানের কোচ মুশতাক আহমেদ। তাকে দেখেই আগেভাগে প্রেসবক্সের সাংবাদিকরা ছুটলেন। কেন; এভাবে মুশতাকের তড়িঘড়ি ছুটে আসা? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর- এতদিনে কথা বলার মতো অবস্থায় পাকিস্তানীরা পৌঁছেছে। বাংলাদেশকে ৩৩২ রানের প্রথম ইনিংসে আউট করার পর পাকিস্তান ১ উইকেট ২২৭।
হয়তো সে কারণেই মনের কথা; নিজের দলের কথা বলার জন্য মুশতাকের তর সইছিল না।
ওয়ানডে সিরিজে বাংলা ধোলাই; ধোলাই টোয়েন্টি২০ ক্রিকেটেও। সমালোচনার জবাব দিতে হিমশিম পাকিস্তান শিবির। সেই শিবিরেই বুধবার প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। টেস্টে অন্য পাকিস্তানকে মেলে ধরতে অবশেষে সফরকারীরা সক্ষম হয়েছে।
ম্যাচের গতি অনেকটাই পাকিস্তানমুখী। কি পরিকল্পনা ম্যাচ নিয়ে? এ ব্যাপারে মুশতাক আহমেদ বলেছেন, ‘আগামীকাল লাঞ্চ পর্যন্ত হাফিজ ব্যাটিং করতে পারলে আমাদের জন্য ভাল হবে। এ ছাড়া প্রতি ওভারে ৩ করে রান রেট রাখতে পারলে দ্রুত লিড নেওয়া সম্ভব হবে।’ সঙ্গে আবার বোলিং নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েছে পাকিস্তান। কি সেই ছক? মুশতাক বলেছেন, ‘ওয়াকার পেসারদের বলেছিল ইতিবাচক থাকতে। টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই ইতিবাচক থাকতে হয়। প্রতি ওভারে ৩ করে রান নিলে বিপক্ষ দল এমনিতেই চাপে পড়ে যাবে। আমাদের মূল পরিকল্পনা ছিল যে যার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবে। হাফিজ খুব অসাধারণ খেলেছে এদিন।’
প্রথম দিন টেস্টে কয়েকটি ক্যাচ মিস করলেও দ্বিতীয় দিনে ফিল্ডিং ভাল হয়েছে। এ ব্যাপারে মুশতাক বলেছেন, ‘আজকে (বুধবার) আমাদের ফিল্ডিং ভালই হয়েছে। আসাদ শফিক অসাধাণ ক্যাচ নিয়েছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবাই খুব ভাল ফিল্ডিং-ক্যাচ নিয়েছে এদিন। সবার থেকে অসাধারণ আসাদ শফিকের ক্যাচটা।’
নিজেদের ইনিংস শেষে বাংলাদেশ নিয়েও পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের কোচ। বলেছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশকে ৩০০ থেকে ৩২৫ রানের মধ্যে আটকে রাখা। বোলাররা তাদের কাজটা ঠিক মতো করতে পেরেছে বলেই সম্ভব হয়েছে। মিসবাহ তার স্পিনারদের খুব ভালভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে।’
পাকিস্তানের কোচ মুশতাক আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের বোলাররা খুব ভাল বল করেছে এবং ফিল্ডিংও খুব ভাল হয়েছে। এই কারণেই সম্ভব হয়েছ দ্রুত বাংলাদেশক অলআউট করা।’ বিশেষ করে তিনি ইয়াসির শাহর বোলিং সম্পর্কে বলেছেন, ‘ইয়াসির শাহ অসাধারণ বোলিং করেছে। আমি মনে করি, সে ডিজার্ভ করে আরও বেশি উইকেট। আমরা বেশকিছু ক্যাচ মিস করেছি। ওই ক্যাচগুলো ধরতে পারলে আরও দ্রুত বাংলাদেশকে আউট করা সম্ভব হতো। শুধু ইয়াসির নয়, বাবরসহ পেসাররাও খুব ভাল বোলিং করেছে।’ বোলিং করাটা কঠিন কী-না এমন প্রশ্নের উত্তরে মুশতাক বলেছেন, ‘অবশ্যই এমন উইকেটে বোলিং করাটা খুব কঠিন। কিন্তু আমাদের দলে কোয়ালিটি বোলার রয়েছে; তাদের ক্ষমতা আছে এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। বোলারদের ধন্যবাদ। তারা ঠিক-ঠাক মতো আক্রমণ সাজাতে পেরেছে।’