শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ : মতিয়া চৌধুরী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, দেশে এখন খাবারের অভাব নাই। এখন মরা কার্ত্তিকের আকাল নাই, মঙ্গায় না খেয়ে মানুষ মরেনা। আমরা এখন বিদেশে চাল রপ্তানি করছি, সব্জী রপ্তানি করছি। সামনে আরও অনেক কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হবে। শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, অনেকেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে কৃষিবান্ধব, শিাবান্ধব, শ্রমিকবান্ধব সরকার হিসেবে বলে থাকে। আমরা বলি আমাদের সরকার হলো ‘জনবান্ধব সরকার’। মূলতঃ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলেই আমরা এমনটা পাচ্ছি। ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরে ুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মধ্যে আউশ প্রণোদনা কর্মসূচীর কৃষি উপকরণ সহায়তা বিতরণ উদ্বোধনকালে মোবাইল ফোনে উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ওইসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আউশ চাষ আবাদে পানি কম লাগে। ভু-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কম হয়, সার-সেচ খরচও তেমন লাগেনা। এজন্য গত তিনবছর যাবত সরকার দেশে আউশ আবাদ বৃদ্ধির লে সার-বীজ ও নিড়ানির জন্য চাষীদের কিছু টাকা দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছে। নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় বৃহস্পতিবার ুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মধ্যে বীজ-সার ও অর্থ বিতরণের মধ্য দিয়েই সারাদেশে আউশ প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। নকলা মুক্তমঞ্চে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বিতরন অনুষ্ঠানে শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুছ ছালাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব আলী চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এদিন নকলা উপজেলায় আউশ প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ৪৪০ জন কৃষক পরিবারের মাঝে এক বিঘা করে জমি আবাদের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ, সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া কৃষকদের ব্যাংক হিসাবে সেচের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ প্রদান করা হয়। এতে প্রতিজন কৃষক প্রতিবিঘা উফসী ধান আবাদের জন্য জন্য ৫ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং আগাছা দমনের জন্য সেচের খরচ বাবদ ৪শ টাকা করে পান। তবে নেরিকা ধান আবাদকারী কৃষকদের সমপরিমাণ সারসহ ১০ কেজি ধান বীজ এবং আগাছা দমনের জন্য অতিরিক্ত ৪শ টাকাসহ ৮শ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এদিন নালিতাবাড়ীতে ৮শ ও শ্রীবরদী উপজেলাতে ২শ কৃষকের মাঝে আউশ প্রণাদনার বীজ-সার ও অর্থ বিতরণ করা হয়। শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক জানান, আউশ মৌসুমে আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির ল্েয চলতি মৌসুমে দেশের ৪৮টি জেলায় প্রণোদনা প্যাকেজ কর্মসূচির আওতায় ৩০ কোটি ২১ লাখ টাকার উপকরণ বিতরণ করা হবে। এতে ২ লাখ ১০ হাজার বিঘা জমিতে ২ লাখ ১০ হাজার ুদ্র ও প্রান্তিক চাষীকে বিনামূল্যে ধান বীজ, রাসায়নিক সার ও নগদ অর্থ সহায়তা পাবেন। শেরপুর জেলায় এবার আউশ প্রণোদনা হিসেবে ২ হাজার ৭৫০ বিঘা জমিতে আবাদ করার জন্য ২ হাজার ৭৫০ টি কৃষক পরিবার সহায়তা পাচ্ছেন।