সদ্য প্রয়াত ফুফুকে সেঞ্চুরি উৎসর্গ তামিমের

5th-day-Stat-Tamimপাকিস্তানের বিপক্ষে যখন মাঠে নেমেছেন তখনই সংবাদটা জানতেন তামিম ইকবাল; না ফেরার দেশে চলে গেছেন তার ফুফু। শুক্রবার পৃথিবীর মায়া কাটিয়েছেন তিনি। যে ফুফু মজার মজার খাবার রান্না করে খাওয়াতেন; সেই ফুফু সকালে মারা গেছেন। মৃত্যুর সংবাদটা তামিমের ফোনে এসেছে বড় ভাই নাফিস ইকবালের কাছ থেকেই। এরপর একবার ভেবেছিলেন ম্যাচের মাঝপথে তিনি চট্টগ্রামে যাবেন। কিন্তু শেষ অবদি সেই চিন্তা থেকে সরে আসেন বাংলাদেশের ড্যাশিং এই ওপেনার। তার ফুফু ফাতেমা হোসেন সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনেই ছিলেন। হঠাৎ করেই শুক্রবার সকালে মারা গেছেন তিনি।
সকালে এমন দুঃসংবাদ পাওয়ার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টের চতুর্থ দিনশেষে তামিম অপরাজিত ১৩৮ রানে। কিভাবে সম্ভব হলো তা? এমন প্রশ্নে শুক্রবার টেস্টের চতুর্থ দিনশেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেছেন, ‘সকালে ভাইয়ার ফোনে খবরটা পাই; শুনেই খুব শকড হই। আমার খাবারের প্রতি লোভ সব সময়। আমার চাহিদা অনুযায়ী আমার ফুফু আমার জন্য অনেক মজার মজার খাবার তৈরি করতেন। এই সিরিজে আসার আগে আমি ফুফুর হাতে আমার প্রিয় খাবারটাও খেয়ে এসেছিলাম।’
তামিমরা জয়েন্ট ফ্যামিলিতে থাকেন। সবাই একসঙ্গে। এমন অবস্থায় ফুফুর মৃত্যু মানসিকভাবে খুব কষ্ট দিচ্ছে তামিমকে। শোক সামলে তামিম বলেছেন, ‘এখন তো ফুফুর জন্য কিছুই করতে পারব না। একটা কাজই করতে পারি; আমার এই সেঞ্চুরিটা তাকে উৎসর্গ করা। তার চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া কঠিন। যদি অসুস্থ থাকতেন তাহলে বুঝতাম। কিন্তু নরম্যাল একজন মানুষের এভাবে চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টকর।’
মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর একবার ভেবেছিলেন চলে যাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের সঙ্গে থেকে গেছেন। এই বিষয়ে তামিম বলেছেন, ‘আমি সুজন ভাইকে বলেছিলাম, আজকে (শুক্রবার) যদি আমার ব্যাটিং শেষ হয়ে যায় তাহলে আমি চলে যাব। তারপরও চিন্তা করলাম, জানাজা-কবর কিছুই পাব না। গিয়ে কি লাভ।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘খেলার মাঠে যখন থাকি, এসব নিয়ে ভাবার সময়ও থাকে না। দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। সব কিছুর আগে দেশ। ফ্যামিলিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি জানাজায় অংশগ্রহণ কিংবা কবরে মাটি দেওয়াটা সম্ভব হতো তাহলে যাওয়ার চিন্তাটা হয়তো করতাম।’

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend