পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না : সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী

rtrবিএনপির নিখোঁজ যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবারও দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। তিনি বলেন, আমি পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না। কেন আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে গেছে, এ নিয়ে আমি প্রশ্ন করব না। আমি শুধু আমার স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে সালাহ উদ্দিন আহমেদের বাসায় তার পরিবারের সদস্যদের বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা সমবেদনা জানাতে গেলে হাসিনা আহমেদ এ সব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘আমি পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না। কেন আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে গেছে, এ নিয়ে আমি প্রশ্ন করব না। আমি শুধু আমার স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই। তিনি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।’
হাসিনা আহমেদ আবেগময় কণ্ঠে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আগেও অনুরোধ করেছি শুধু আমার সন্তানদের জন্য সালাহ উদ্দিনকে ফিরিয়ে দিন।’
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আমরা সালাহ উদ্দিনের পরিবারের খোঁজখবর নিতে তার বাসায় এসেছি। আজকে ৫৩ দিন হতে চলেছে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে খোঁজে পাওয়ার জন্য তার স্ত্রী লড়ে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি বলতে চাই, আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত দায়িত্বশীল। তারা সুনামের সঙ্গে বিদেশেও দায়িত্ব পালন করে থাকে। সালাহ উদ্দিনের খোঁজ পাওয়া তাদের কাছে খুব কঠিন কাজ নয়।’
স্মৃতিচারণ করে বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্ব থাকা আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন ও আমি একই হলে থাকতাম। তিনি ভাল ছাত্র ও মেধাবী ছাত্র ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘এরশাদ সরকারের আমলেও একবার সালাহ উদ্দিন নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরে আহত অবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসির বাসভবনের কাছে তাকে পাওয়া গিয়েছিল। এখন তিনি বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব। তার গায়েব হয়ে যাওয়া উদ্বেগের বিষয়। সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, সালাহ উদ্দিকে তার পরিবারের কাছে দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হউক।’
এ সময় আরও উপিস্থিত ছিলেন— বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, শামসুল আলম তোফা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার স্ত্রী হাসিনাও সংসদ সদস্য ছিলেন।
তাদের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সৈয়দ ইব্রাহিম আহমেদ কানাডায় ও বড় মেয়ে পারমিজ আহমেদ ইকরা মালয়েশিয়াতে লেখাপড়া করেন। ছোট ছেলে সৈয়দ ইউসুফ আহমেদ ও ছোট মেয়ে ফারিবা আহমেদ রাইদা দেশেই থাকেন।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend