মেলান্দহে ব্রিজের গার্ডার দেবে অর্ধশতাধিক গ্রামবাসির দুর্ভোগ
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার সাদিপাটি ব্রিজের গার্ডার দেবে যাওয়ায় এ সড়কে গুঠাইল ও ইসলামপুরের সাথে মেলান্দহের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দুই সহস্রাধিক মানুষ।
জানা গেছে, উপজেলার সাদিপাটি ব্রিজের গার্ডার দেবে গেছে প্রায় এক বছর যাবৎ। এতে মেলান্দহ থেকে গুঠাইল ও ইসলামপুর উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক পথের যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন মেলান্দহ ও ইসলামপুর উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের দুই সহস্রাধিক মানুষের চলাচল এই রাস্তায়। এই অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষিপণ্যসহ ব্যবসা বাণিজ্যের সকল মালামাল আনা-নেয়ার কাজে এ সড়কটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এক বছর থেকে ব্রিজ্রটি মেরামত না করায় বিকল্প ব্যবস্থায় মালামাল সরবরাহে এলাকাবাসীকে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এলাকাবাসিরা জানায়, প্রভাবশালীরা ব্রিজের পাশ থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করার ফলে ব্রিজের পশ্চিম পাশের একটি গার্ডার দেবে ব্রিজটি চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়ে।
৯০দশকে তৎকালীন ধর্ম বিষয়ক সচিব মরহুম আলহাজ এম.এ. রশিদ এবং ওই সময়ের এমপি-শফিকুল ইসলাম খোকার বিশেষ তত্বাবধানে বলিদা নদী (বর্তমানে বলিদা খাল)’র উপর ৪০মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি নির্মিত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান-এলজিইডি ও জেলা পরিষদের ঠেলা-ধাক্কার কারণে ব্রিজটি মেরামতের উদ্যোগ নিতে দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
ব্রিজের গার্ডার দেবে যাওয়ার কারণ হিসাবে উপজেলা প্রকৌশলী মুহম্মদ শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, ৯০দশকে ব্রিজের পাইলের কাজ হতো কাঠ দিয়ে। এই পাইলের টেম্পারিং ওভার কিংবা, পানির স্রোতের খরতার বৃদ্ধি, ড্রেজার দ্বারা বালি উত্তোলনের ফলে মাটির স্তর সরে গেলে, কিংবা ক্রমাগত পানি প্রবাহের ফলে গর্তের সৃষ্টি (স্কাওয়ারিং) হলেও গার্ড়ার দেবে যেতে পারে।
ব্রিজটি জেলা পরিষদের নির্মিত। এতে এলজিইডির কারিগরি সহায়তার কোন তদারকি ছিল না। এজন্য এর আদি-অন্ত এলজিইডির দপ্তরে নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ একেএম হাবিবুর রহমান চাঁন জানান, ইতোমধ্যেই উপজেলা পরিষদ থেকে ব্রিজ সচলের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জনদুর্ভোগ লাগবে যতদ্রুত সম্বভ কাজ বাস্তবায়ন হবে।