পিন্টুর মৃত্যুতে ‘অপমৃত্যু’ মামলা
বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুতে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি ‘অপমৃত্যু’ মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ রবিবার দুপুরে মৃত্যুর সনদ পাওয়ার পর মামলাটি দায়ের করে।
রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান জানান, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে পাওয়া মৃত্যুর সনদ পাওয়ার পর থানা পুলিশ অপমৃত্যু (ইউডি) মামলাটি দায়ের করে।
তিনি আরও জানান, মামলার পর পিন্টুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হয়। এর আগে, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু রায়হান সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
ওসি মেহেদি হাসান জানান, বিএনপিনেতা পিন্টুর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে কারাকর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কারাকর্তৃপক্ষ পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করবেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে রবিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত ডাক্তার পিন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. রইচ উদ্দিন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাসপাতালে আনা হয় পিন্টুকে। তাৎক্ষণিক ইসিজি করা হলে তার হৃদস্পন্দন পাওয়া যায়নি। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
তিনি দাবি করেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার অন্তত ২০-৩০ মিনিট আগেই পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে।’
পিলখানা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পিন্টুকে ২০ এপ্রিল রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর বিরুদ্ধে পিলখানা হত্যা মামলাসহ দুর্নীতি ও ভাংচুরের সাতটি মামলা রয়েছে।
পিলখানা হত্যা মামলার রায়ে ১৫২ জনকে ফাঁসি, পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৭১ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।