রিপ্রেজেনটেটিভদের দৌরাত্ম্য কমাতে আইন হবে: নাসিম
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভরা যাতে যখন-তখন চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পারেন, সে ব্যাপারে শিগগিরই আইন করা হবে। এর ফলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে তাঁরা চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভরা যখন-তখন ডাক্তারের রুমে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ রোগীদের দিতে ডাক্তারদের পরোক্ষ চাপ প্রয়োগ করেন। তাঁদের কল্যাণে ওষুধশিল্পের কিছুটা বিকাশ ঘটলেও রোগীদের কোনো লাভ হচ্ছে না। আমরা শিগগিরই এ বিষয়ে আইন করতে যাচ্ছি।’
মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, এখনো কিছু ক্লিনিক আছে, যেখানে চিকিৎসা বা চিকিৎসকের মানদণ্ড মানা হয় না। এসব ভুয়া ক্লিনিক ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনকে সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মির্জা মোহাম্মদ হিরনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদ হাসান, মহাসচিব ইকবাল আর্সনাল প্রমুখ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে বর্তমানে প্রায় দুই লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত। তার পরও প্রতি ১০ হাজার জনের জন্য ডাক্তার-নার্সের সংখ্যা ছয়জন। স্বল্প সামর্থ্যের মধ্য দিয়েও আমরা স্বাস্থ্যসেবার মান আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাহমুদ হাসান বলেন, দেশে সংক্রামক ব্যাধির হার আগের তুলনায় কমলেও ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগের মতো অসক্রামক ব্যাধি বাড়ছে। এ জন্য দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বিশেষায়িত পদ সৃষ্টি করতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করতে বিশেষায়িত চিকিৎসকদের তাদের কাছে নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মির্জা মোহাম্মদ হিরন বলেন, দেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রোগী ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। শুধু অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে ৮৫ লাখ মানুষ ভুগছে। দেশব্যাপী হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ও গবেষণার লক্ষ্যে অ্যাসোসিয়েশন কাজ করে যাচ্ছে।