শেরপুরে মেয়ে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বাশুড়ি নিহত
শেরপুরে মেয়ে জামাইর ছুরিকাঘাতে শ্বাশুড়ি খুন হয়েছে। ৭ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বলাইর চর ইউনিয়নের ধোবারচর কামারপাড়া গ্রামে ওই খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদা বেগম (৫০) ওই গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী। শ্বাশুড়িকে খুনের পরই ঘাতক মেয়ে জামাই আশরাফুল আলম ওরফে কেমফু মিয়া (২৫) পালিয়ে যায়।
বলাইর চর ইউনিয়নের ধোবারচর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার ফারুক আহম্মদ জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, প্রায় ৮/৯ বছর আগে আব্দুস সামাদের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুই কন্যা সন্তানসহ বিধবা ফরিদা বেগমকে বিয়ে করেন। একপর্যায়ে পারিবারিক সম্মতিতে ফরিদা বেগমের আগের দিকের বড় মেয়েকে সামাদের ছেলে আশরাফুল আলম কেমফু মিয়ার কাছে বিয়ে দিয়ে সৎ মা থেকে শ্বাশুড়ি হন। বিয়ের পর আশরাফুল এক সন্তানের বাবা হন। কিন্তু আয়-রোজগারহীন আশরাফুলকে ছেড়ে কয়েক মাস আগে সন্তান সহ তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতে চলে যায়। এনিয়ে শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমের সাথে কেমফু মিয়ার পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এনিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। দুপুর সোয়া দুইটার দিকে বাড়ীর ভেতর টিউবঅয়েল পাড়ে থালাবাসন পরিস্কার করার সময় শ্বশুড়ি ফরিদা বেগমকে পেছন থেকে ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। ঘটনার পর পরই ঘাতক আশরাফুল আলম কেমফু মিয়া পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল করিম জানান, এ খুনের ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে ছেলে আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আশরাফুলকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।