হাসিনা-খালেদার মধ্যে সংলাপের চেষ্টা জাতিসংঘের
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মধ্যে সরাসরি সংলাপের চেষ্টা চালাচ্ছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এম এ মোমেন এমন আভাস দিয়েছেন। তিনি এটাও অভিযোগ করেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
এম এ মোমেন আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের দেয়া প্রতিক্রিয়াটি তথ্য-নির্ভর ছিল না। সঠিক তথ্য জানার পর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কোনো ধরনের অচলাবস্থা নিরসনে আগাম উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ওসকার ফারনান্দেজ তারানকো মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের জন্য দুই নেত্রীর মধ্যে সংলাপ এবং তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়ন জরুরি। তারানকো এরইমধ্যে দুই নেত্রীকে সংলাপে বসানোর উপায় খুঁজছেন। এ নিয়ে তিনি পররাষ্ট্র দপ্তর, সরকার ও ঢাকায় বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে, কীভাবে তা সম্ভব—এ বিষয়ে অবশ্য কেউ কোনো ধারণা তাকে দিতে পারছেন না।
এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান যে সমস্যা তা অতীতের যে কোন সমস্যা থেকে ভিন্ন। এ সমস্যা অর্থনীতি বা যুদ্ধ সংক্রান্ত কোন বিষয় নয়, এটা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়। এ সমস্যার সমাধান আন্তর্জাতিক মহলের হাতে নেই। রাজনৈতিক এ সমস্যা সমাধানে সরকার ও বিরোধী পক্ষ কিভাবে সাড়া দেয় তার ওপর নির্ভর করবে। এটা নিজেদেরকেই করতে হবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করেই এ সংকট সমাধান করতে হবে।
ড. দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, ভবিষ্যতের জন্য দেশের জনগণ চায়, সরকার ও বিরোধী দল কিছু বিষয়ে একমত হয়ে একসঙ্গে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করবে। বহির্বিশ্বকেও বুঝতে হবে, এ সংকট সমাধানের ক্ষমতা দেশের জনগণের আছে। সমাধান সময় আর নেতৃত্বের ব্যাপার মাত্র। সময় আর নেতৃত্ব একসঙ্গে মিললেই একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করেন এ বিশ্লেষক। রেডিও তেহরান