‘এমপি এলেই আওয়ামী লীগ অফিসে তালা’
তালাবদ্ধ থাকায় কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি আওয়ামী লীগ যশোর জেলা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অনুসারীদের নিয়ে শহরে মিছিল করেন। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
সভাপতি মিলন অভিযোগ করে বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য এমপি কাজী নাবিল আহমেদের অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। আমি আগে সেখানে গিয়ে দেখি অফিস তালাবদ্ধ। সাধারণ সম্পাদকপন্থীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যখনই এমপি সাহেব যশোর আসেন, তখনই তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটে।’
কেন অফিসে তালা দেওয়া হয়েছে?— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যেন অফিসে ঢুকতে না পারি, তার জন্য এই ব্যবস্থা। শুধু আজই নয়, এর আগেও এমনভাবে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অফিসে দাগী সন্ত্রাসী আর জুনিয়র ছেলেদের বসিয়ে রাখা হয়। তারা সিনিয়রদের সম্মান করে না। এ সব বিষয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বিএম মোজাম্মেল হককে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
তবে সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, অফিস স্টাফ শাহাবুদ্দিন তিনদিনের ছুটিতে আছে।
দলের জেলা কমিটির বিদায়ী দফতর সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি তেমন কিছুই না। অফিস কেয়ারটেকার শাহাবুদ্দিনের ছেলের পা আগুনে পুড়ে গেছে। তাই সে খুলনায় অবস্থান করছে। তাই অফিস তালাবদ্ধ।’
তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘মিলন ভাইয়ের সঙ্গে যারা অফিসে আসেন, তারা আসলে আওয়ামী লীগের তেমন কেউ না। মিলন ভাই কি অফিসের কোনো খোঁজ-খবর রাখেন?’
জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। ওই দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো গঠন হয়নি।