উপজেলার সংরক্ষিত নারী পদে নির্বাচন ১৫ জুন
চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের সংরক্ষিত নারী পদে নির্বাচন ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই পূর্ণাঙ্গ উপজেলা পরিষদ গঠন করতে যাচ্ছে ইসি। ইতোমধ্যে সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় হাজার নারী প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের ভোটগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৫ জুন সংরক্ষিত নারী পদে ভোটগ্রহণের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি সূত্র জানায়, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২১ মে, যাচাই-বাছাই ২৩ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে এবং ভোটের তারিখ ১৫ জুন।
উপজেলা নির্বাচন বিধিমালায় সংরক্ষিত মহিলা আসন নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও আইনি জটিলতার কারণে তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা পদে নির্বাচন করতে পারেনি ইসি। চতুর্থ উপজেলাতে নারী পদের ভোটগ্রহণের জন্য ডিসেম্বরে উদ্যোগ নিলেও আইনি জটিলতায় আটকে যায়।
উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করবেন। আর এই সদস্যদের সংখ্যা হবে উপজেলায় ইউনিয়ন ও পৌরসভাগুলোর মোট নারী সদস্যের এক-তৃতীয়াংশের সমান।
উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর ৬ ধারার (১) উপধারা ও (৪) উপধারায় উপজেলা পরিষদ গঠিত হবে, একজন চেয়ারম্যান, দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান, যাহার মধ্যে একজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা এলাকাভুক্ত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা সাময়িক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি। উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক পৌরসভা, (যদি থাকে) এর মেয়র বা সাময়িকভাবে মেয়রের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি এবং উপধারা (৪) অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ। বিধান অনুযায়ী পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে এ জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী উপজেলাতে ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা থাকলে উপজেলায় নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসন হবে ৪টি। ইউপি/পৌরসভার সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরাই সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে ভোটার এবং প্রার্থী হতে পারবেন।
দেশের ৪৮৯ উপজেলার মধ্যে ৪৮৭ উপজেলার সীমানা গেজেট ও ভোটার তালিকা রয়েছে ইসির কাছে। এতে প্রায় দেড় হাজার নারী সদস্য পদে নির্বাচিত হবেন। ভোটার রয়েছে ১৪ হাজার ১২ জন। উপজেলা পরিষদের একটি ভোটকেন্দ্রে জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নারী সদস্যরা নির্বাচিত হবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দেশে উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থা চালুর পর এই প্রথম উপজেলা পরিষদ সংরক্ষিত নারী প্রতিনিধি পাচ্ছে। তবে এ মেয়াদে তারা থাকতে পারবেন শুধু সাত-আট মাস। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে আগামী বছরের শুরুতে। সেক্ষেত্রে ভোটের আগে ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে গেলে উপজেলার নারী প্রতিনিধিদের পদও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে। কারণ, এ সব প্রতিনিধি ইউনিয়ন বা পৌরসভার সংরক্ষিত নারী প্রতিনিধি।