জেল নয়, ধর্ষকের লিঙ্গচ্ছেদ চান পঞ্চায়েত অধ্যক্ষ
ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়া উচিত। সর্বভারতীয় খাপ পঞ্চায়েতের অধ্যক্ষ পদে বসার পর সুদেশ চৌধুরী শ্লীলতাহানির অভিযোগে এমনই কঠোর শাস্তির পক্ষে মত দিলেন। শুধু তাই নয়, ধর্ষককে সর্বসমক্ষে ফাঁসি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
ভারতে দিনের পর দিন নারী ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান আইনে ধর্ষকের যে শাস্তি উল্লেখ করা আছে তাতে যে আদৌও কোন কাজ হচ্ছে না, সে বিষয়ে কোনও দ্বিধা নেই সর্বজাত সর্বখাপ পঞ্চায়েতের সর্বভারতীয় অধ্যক্ষ সুদেশ চৌধুরীর। তাঁর মতে, এই ধরনের অপরাধে অপরাধীর যৌনাঙ্গ ছেদ করাই শুধু নয়, তার পরিবারকেও সমাজে একঘরে করে দেওয়া দরকার।
সুদেশের বক্তব্য, এমন কঠিন আইনি বিধান জারি হলে ধর্ষণ ও নারী নিগ্রহের মতো অপরাধ করার আগে অপরাধীর মনে ভীতি তৈরি হবে। এর ফলে যৌন অপরাধের হার কমবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
আজ বৃহস্পতিবার কার্নালের এক সভায় তিনি ভাষণে বলেন, বর্তমানে নারী সুরক্ষা শিকেয় উঠেছে। কন্যা সন্তানের জন্ম হলে তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরিবারে সোকের ছায়া নামছে। সদ্যজাত থেকে স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে তাঁদের গোটা জীবন অভিশপ্ত হয়ে উঠছে।
সুদেশ চৌধুরীর দাবি, ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রমাণ হলে কঠিনতম শাস্তি দেওয়াই শ্রেয়। তাঁর অভিযোগ, নারী নিগ্রহ ও ধর্ষণের অপরাধের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণেই সমাজে ভুল বার্তা পৌঁছেছে। এই ধরনের অপরাধ করেও লঘু সাজা হতে পারে অথবা শাস্তি এড়ানো যেতে পারে, এই বিশ্বাসের ফলেই প্রতিদিন নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে নারী। পরিস্থিতি পাল্টাতে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেছেন তিনি।