‘আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক’ >>> শেরপুর জেলা সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, রাষ্টীয় ক্ষমতা আওয়ামী লীগের শক্তি নয়। মূল শক্তি দেশের জনগণ এবং সংগঠন। তার কোনো একটা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে আওয়ামী লীগে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে আয়োজিত এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, আগামী নির্বাচন একটি পৃথক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে সংগঠনকে সঠিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। তৃণমূল সম্মেলন অনেক দেরিতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এভাবে সম্মেলন হলে আওয়ামী লীগ আর বেশিদিন থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, একাধিক প্রার্থী থাকায় উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে।
এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর জেলার সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ এক যুগ পর শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে। তাহলে কী দরকার আছে সেই গঠনতন্ত্রের। ছিঁড়ে ফেলে দিন সেই গঠনতন্ত্র।
গঠনতন্ত্র না মেনে দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় এভাবেই তিনি তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপির সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, শেরপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী প্রমুখ।