পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
রাজধানীর কোতয়ালী থানার দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল দীপক মৈত্রের বিরুদ্ধে স্ত্রী শিল্পী মৈত্রকে (৩৬) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের ভাই অনন্ত মৈত্র এ অভিযোগ করেন।
রাজধানীর দক্ষিণ মুগদা ১/৮ নম্বর বাসা থেকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শিল্পী মৈত্র নামের ওই গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিল্পী মৈত্র কোতয়ালী থানায় দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল দীপক মৈত্রের স্ত্রী।
নিহতের ভাই অনন্ত মৈত্র অভিযোগ করেন, তার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। তার দুলাভাই হত্যা করে বোনের লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
কনস্টেবল দীপক মৈত্র জানান, দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি মুগদার ১/৮ নম্বর বাসার চতুর্থ তলায় বাস করেন। তার বড় মেয়ে দীপ্তি মৈত্র দুপুরে ওই এলাকায় অবস্থিত একটি কোচিং-এ প্রাইভেট পড়তে যায়। ছোট মেয়ে প্রীতি মৈত্রকে নিয়ে তিনি পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘুম ভেঙে দেখেন, পাশের রুমে স্ত্রী গলায় ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়েছে। তবে কি জন্য সে ফাঁস দিয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি।
পরে শীল্পি মৈত্রের পরিবারকে খবর দিলে তার ভাই অনন্ত মৈত্র ও বাবা বিশ্বনাথ মৈত্র বাসায় আসেন। তারা শীল্পি মৈত্রকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিল্পীর ভাই অনন্ত মৈত্র অভিযোগ করেন, দুলাভাই তার বোনকে সন্দেহ করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। দীপক মৈত্র তার বোনকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতালের ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।