‘নজরুল বিশ্বমানবতার মুক্তির কথা বলে গেছেন’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমিতে এক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক বলেছেন, ‘নজরুলের প্রবন্ধে তার অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ বিরোধিতা বজ্রবাণীর মতো ফুটে উঠেছে। কবিতা ও গানের মতো প্রবন্ধেও তিনি স্বদেশের পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিম্নবর্গের মানুষসহ সমগ্র বিশ্বমানবতার মানুষের মুক্তির কথা বলে গেছেন।’
বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে রবিবার বিকেলে ‘নজরুলের প্রবন্ধ : রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক এক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম প্রধানত বিদ্রোহী কবি হিসেবেই বাঙালীর কাছে পরিচিত। এ ছাড়া তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন অসাধারণ সব গানের জন্য। তবে প্রাবন্ধিক হিসেবে তার পরিচয় ফুটে উঠেছে সাংবাদিকতার সূত্রে। সান্ধ্য দৈনিক নবযুগ, অর্ধসাপ্তাহিক ধূমকেতু, সাপ্তাহিক লাঙল ও সাপ্তাহিক গণবাণীতে সমকালে স্বদেশ ও বিশ্বের সাড়া জাগানো ঘটনা ও প্রসঙ্গ নিয়ে অনেক সম্পাদকীয় নিবন্ধ লিখেছেন তিনি। সেগুলিতে তার রাজনৈতিক ভাবনার পরিচয় ফুটে উঠেছে।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও সম্পাদকীয় কলামে প্রাবন্ধিক নজরুল তার সাম্যবাদী ও অসাম্প্রদায়িক সত্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এ সব রচনায় যে সাহসী ও মানবতাবাদী নজরুলের পরিচয় আমরা পাই তা সমগ্র নজরুলেরই অনিবার্য অংশ। তার প্রবন্ধ নিয়ে আরও বেশি গবেষণা হওয়া জরুরি।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী। বক্তৃতা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন এস এম মাহিদুল ইসলাম।