শেরপুরের আদালত চত্বর থেকে হত্যা মামলার আসামীর পলায়ন
জেলার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বারান্দা থেকে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় মো. হাফিজুর রহমান (৩০) নামে এক হত্যা মামলার আসামি হ্যান্ডকাফ খুলে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনা সোমবার দুপুরে ঘটেছে।
এ ঘটনায় সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বুলবুল আহম্মেদ ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ও জেলা পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, জেলার নালিতাবাড়ী থানার জিআর মামলা ৪৫/১৫-এর আসামি মো. হাফিজুর রহমানকে দুপুরে জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজিরার জন্য আনা হয়। পরে কোর্ট পুলিশ দুপুর ১টার দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে বিভিন্ন মামলার আরও ১২ জন আসামির সঙ্গে হ্যান্ডকাফ পরানো অবস্থায় তাকে ওই আদালতের এজলাসে নিচ্ছিল। পথে এজলাস ভবনের বারান্দা থেকে কৌশলে আসামি হাফিজুর রহমান হ্যান্ডকাফ খুলে পালিয়ে যায়। পরে আসামিদের আদালতের কাঠগড়ায় উঠালে একজন আসামি কম বলে বুঝতে পারে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে এ ঘটনার পর পরই আদালত চত্বরে ওই আসামিকে খোঁজার জন্য শেরপুর সদর থানা পুলিশ ও কোর্ট পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।
পুলিশ সুপার মেহেদুর করিম ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিকভাবে পলাতক ওই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ দিবাগত রাত ১০টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার তোয়ালকুঁচি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে হাফিজুরসহ একই গ্রামের আশরাফ ও সুমন নালিতাবাড়ী থেকে নন্নী গ্রামে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ওমর আলী (৫৫) নামে এক অটোচালককে অনুরোধ করে। কিন্তু রাতে যেতে অস্বীকার করলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাফিজুর ওই অটোচালককে ঘুষি মারে। এ সময় সে জ্ঞান হারালে তাকে নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান।
ওই সময় স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তার মূল আসামি হাফিজুরকে আটক করে নালিতাবাড়ী থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই হত্যা মামলায় আসামি হাফিজুর গ্রেফতার ছিল।