কাজের বুয়া থেকে সাবধান!
চট্টগ্রামে কাজের বুয়া সেজে স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে একটি চক্র। ম্যাজিস্ট্রেট, চাকরিজীবী, শিক্ষক ও ব্যবসায়ীসহ সকল পেশার মানুষের বাসা থেকে লাখ লাখ টাকার মূল্যবান সম্পদ লুটে নেয়ার অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। পেশাদার চোর হিসেবে বিভিন্ন সময়ে তারা গ্রেফতার হলেও টাকার লোভে তারা একই পেশায় বাব বার ফিরে আসে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
চুরির মামলায় পুলিশের রিপোর্ট দুর্বল হওয়ায় সহজে জামিনে বেরিয়ে যায় তারা। চকবাজার থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই নারী ব্যবসায়ী আশিকুর রহমানের আমানত হাইটসের ৩/বি বাসায় আসে। কাজের বুয়া হিসেবে নিজেদের পরিশ্রমী দাবি করে একজন নিজেকে সালমা পরিচয় দিয়ে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর দিয়ে আসে আশিকের স্ত্রীকে। পরে ঐ বাসায় ২/৩ ঘণ্টা কাজ করে চলে যায়। পরদিন ২১ জানুয়ারি সকাল সোয়া ১০টার দিকে ওই দুই নারী আবার ঐ বাসায় কাজ নেয়ার সুবাদে ২/৩ ঘণ্টা কাজ করার পর কোন পুরুষ লোক না থাকার সুযোগে কৌশলে আশিকের স্ত্রীর বেড রুম থেকে ২টি স্বর্ণের হার, ২ জোড়া বড় কানের দুল, ৪টি গলার চেইন, ৬ জোড়া কানের দুল, ১ জোড়া হাতের বালা ও ডায়মন্ডের ২টি আংটিসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৮০ হাজার প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে পালায়।
চকবাজার থানার ওসি আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। ২৩ মে আসামি মফিজকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সহযোগী আসামি শহীদ ও তাহার স্ত্রী আসামি পারভিনকে বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা হতে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। আসামি শহীদ ও মফিজের প্ররোচনা ও পরিকল্পনায় আসামি পারভিন আক্তার তার সহযোগী আসামি রেহেনা বেগমসহ আশিকের বাসা হতে স্বর্ণ চুরির ঘটনা স্বীকার করে।
আসামি পারভিন আরও স্বীকার করে, সে ও তাহার সহযোগী আসামি রেহেনা পাঁচলাইশ থানাধীন অলি খাঁ মসজিদের পশ্চিম পাশে জয়নগর এলাকায় কেয়ারী সুলতানা বিল্ডিংয়ের এক ম্যাজিস্ট্রেটের বাসায় একই কায়দায় বুয়া হিসেবে কাজ নেয়। গত ১ মে ঐ বাসা হতে ১টি গলার চেইন, ২টি লকেট, ৩ জোড়া কানের দুল ও ২টি আংটি চুরি করে নাসিরাবাদ এলাকার এক স্বর্ণের দোকানে নিজেদের সোনা বলে ৩ ভরি ৭ আনা ওজনের ২টি সোনার পাত তৈরি করে নিজেদের কাছে রাখে। আসামিরা সংঘবদ্ধ চোর চক্র দলের সদস্য। চকবাজার থানার ওসি আজিজ আহমেদ জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকার বিভিন্ন বাসায় ভোলা গ্রুপ ও বরিশাল গ্রুপ নামে বিভিন্ন স্থানে চুরি করার কথা স্বীকার করে।
সৌজন্যে: জনকণ্ঠ