শেরপুর আদালত পলাতক আসামী ধরা পড়েনি >> দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা
২৫ মে সোমবার দুপুরে শেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস থেকে হ্যান্ডক্যাফ খুলে পালিয়ে যাওয়া হত্যা মমলার আসামী হাফিজুর রহমান আটক হয়নি । এ ঘটনায় আদালতের বিচারক দায়িত্ব অবহেলার জন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন। একইসাথে আইজিপি, জেলা ও দায়রা জজ এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আদেশের অনুলিপি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ি উপজেলার নন্নী পোড়াগাঁও এলাকার ইজিবাইক চালক ওমর আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামী হাফিজুর রহমানকে হাজিরার জন্য সোমবার সকালে জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। পরে কোর্ট পুলিশ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে ওই আসামীসহ বিভিন্ন মামলার আরো ১২ জন আসামীকে হ্যান্ডক্যাফ পড়ানো অবস্থায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমদের আদালত-৩ এ নিয়ে আসে। লোকজনের ভীড় ঠেলে এজলাসে ঢোকানোর সময় কৌশলে আসামী হাফিজুর রহমান হ্যান্ডক্যাফ খুলে পালিয়ে যায়। কর্তব্যরত কোর্ট কনস্টেবল উজ্জল কুমার ও তোফাজ্জল হোসেন এজলাসে আসামী গণনা করতে গিয়ে দেখে হাফিজুর নেই। এদিকে, এ ঘটনার পরপরই আদালত চত্বরে ওই আসামীকে খোঁজার জন্য শেরপুর সদর থানা পুলিশ ও কোর্ট পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ সুপার মেহেদুর করিম বলেন, ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষনিকভাবে পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তাারে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তিনি বলেন, তদন্ত করে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ দিবাগত রাত ১০ টার দিকে নালিতাবাড়ির মধুটিলা ইকোপার্ক থেকে ওমর আলী ইজিবাইকে করে নন্নী আসার পথে হাফিজুর ও তার আরও দুই সহযোগী কথাকাটাকাটির জের ধরে ওই ইজিবাইক চালককে কিল-ঘুষিতে হত্যা করে। স্থানীয় লোকজন মূল আসামী হাফিজুরকে আটক করে নালিতাবাড়ি থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ২ এপ্রিল ১৬৪ ধারায় আসামী হাফিজুর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।