পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান মেনুর (৩৪) বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক নারী গার্মেন্টসকর্মী।
১৮ বছর বয়সী ওই গার্মেন্টসকর্মী মঙ্গলবার দুপুরে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান মেনুর বিরুদ্ধে এক নারী গার্মেন্টসকর্মী ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা নেওয়া হবে।’
অভিযোগে বলা হয়েছে, করিমগঞ্জ পৌরসভার ওই তরুণী গাজীপুরে একটি সোয়েটার কারখানায় চাকরি করতেন। তাকে একই গ্রামের মৃত সাদত আলীর ছেলে পৌর কাউন্সিলর ও জাতীয় পার্টির পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান মেনু প্রায়ই বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু কাউন্সিলর বিবাহিত হওয়ায় তিনি তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে রাজি হননি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সপ্তাহখানেক আগে গাজীপুর থেকে ওই তরুণী বাড়ি এলে আবারও তাকে আনিছুর রহমান মেনু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চাপ দিতে থাকেন। এতেও তিনি রাজি হননি। ২৩ মে রাতে কাউন্সিলর মোবাইল ফোনে কৌশলে তাকে ডেকে ঘরের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মেনুকে আটক করে। ওই রাতেই তরুণীর বাবাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেনুকে ছাড়িয়ে নেয় তার পরিবার। পরবর্তী সময়ে নারী গার্মেন্টসকর্মীকে বিয়ে করতে রাজি না হয়ে উল্টো তাকেসহ পরিবারের লোকজনকে খুন-গুমের হুমকি দেন কাউন্সিলর মেনু।
করিমগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিলি আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ধর্ষণের ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, ‘এর আগেও কাউন্সিলর মেনু ধর্ষণের পর গ্রাম্য সালিশে আর্থিক জরিমানা দিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করেন না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমানের মেনুর ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘ওই গার্মেন্টসকর্মী আমার মামাতো বোন। ওই দিন রাতে সে তাদের বাড়িতে আমাকে ডাকে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তাদের বাড়িতে যাই। পরে সে কৌশলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ওই ঘটনায় জড়ায়।’