শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ডিগ্রিবিহীন দন্ত চিকিৎসকের চেম্বার সিলগালা
শেরপুরে ডিগ্রিবিহীন দন্ত চিকিৎসকদের চেম্বারে অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অননুমোদিতভাবে দন্ত চিকিৎসা করার অভিযোগে শেরপুর জেলা শহরের বটতলা এলাকায় অবস্থিত দি রতন’স ডেন্টাল পয়েন্ট সিলগালা করে দেন আদালত। তবে এ সময় চেম্বার মালিক রতন চন্দ্র দাশ চেম্বারে ছিলেন না। আজ ২৬ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাবের সহযোগিতায় নির্বাহী হাকিম মো. মেহেদী হাসান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও র্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মে শুক্রবারের একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ‘চিকিৎসক না হয়েও দাঁতের চিকিৎসা দিচ্ছেন তাঁরা!, শেরপুরে চেম্বার খুলে বসেছেন আট ডিপ্লোমা টেকনোলজিস্ট’ শীর্ষক সংবাদটি জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দৃষ্টি গোচর হয়। এ সংবাদের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেরপুর শহরের নয়আনী বাজার কলেজ মোড় এলাকায় অবস্থিত শেরপুর ডেন্টাল কেয়ারে অভিযান চালান। এসময় আদালত ওই কেয়ারের স্বত্বাধিকারী রকিবুল হাসান রবিনকে অনুমোদনবিহীনভাবে দাঁতের চিকিৎসা প্রদান না করতে সতর্ক করে দেন।
পরে আদালত শহরের বটতলা এলাকায় অবস্থিত দি রতন’স ডেন্টাল পয়েন্টে যান। এখানে র্যাব সদস্যরা তল্লাশী চালিয়ে ‘ডা. রতন চন্দ্র দাশ’ লিখা বিভিন্ন প্যাড ও ভিজিটিং কার্ডসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করেন। পরে নির্বাহী হাকিম মো. মেহেদী হাসানের নির্দেশে ওই ডেন্টাল পয়েন্টটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে র্যাব-১৪’র স্কোয়াড কমান্ডার এ.জেড.এম তৈমুর রহমান, শেরপুর জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আহসান হাবিব হিমেল ও ডেন্টাল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুরের নির্বাহী হাকিম মো. মেহেদী হাসান অভিযান পরিচালনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি জনমনে সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর মাধ্যমে হাতুড়ে দন্ত চিকিৎসকদের অপচিকিৎসা ও প্রতারণা থেকে সাধারণ মানুষ সতর্ক থাকবেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত. বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমএন্ডডিসি) আইন লংঘন করে ভুয়া ‘ডিগ্রি’ ব্যবহার করে এবং নামের আগে ডাক্তার লিখে শেরপুর জেলা শহরের বিভিন্নস্তানে চেম্বার খুলে কয়েক ব্যক্তি দাঁতের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এঁদের অপচিকিৎসায় প্রতারিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ