শেরপুরের সাবরেজিস্টার অফিসে নকল নবিশদের কর্মবিরতি চলছে
বিধিবহির্ভূত ভাবে জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে শেরপুর সদর সাব-রেজিস্টার কার্যালয়ে ‘ট্যাক্স কালেক্টর মোহরার’ (টি.সি মোহরার) পদে এক কনিষ্ঠ নকল নবিশকে নিয়োগ দেয়ার প্রতিবাদে শেরপুর জেলা সদরসহ অন্য ৪ উপজেলায় নকল নবিশদের গত বৃহস্পতিবার হতে টানা চলা কর্মবিরতি আজ মঙ্গলবার অবধি চলছে।
এদিকে নকল নবিশদের এ ধরণের কর্মবিরতির ফলে প্রচন্ড ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে দলিলের প্রত্যায়িত নকল নিতে আসা মানুষদের। এর ফলে অনেকের খারিজ, জমি ক্রয় বিক্রয়সহ জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুরের জেলা রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘গত ১৬ এপ্রিল ইস্যু করা নিবন্ধন পরিদপ্তরের নিপ/টি.সি/এ-২/১১/৬০৩ নম্বর স্মারকের মাধ্যমে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন মহোদয়ের নির্দেশক্রমে তিনি খালেদাতুন জান্নাতকে টি.সি মোহরার পদে নিয়োগ দিয়েছেন। মূলত তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পালন করেছেন মাত্র।’
তার বিরুদ্ধে অনিময় ও ঘুষের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার এখানে নিয়োগদানের কোন এখতিয়ার নেই, এমনকি সাবরেজিস্টারদেরও কোন প্রকার হাত নেই সুতরাং আমাদের ঘুষ দুর্ণীতির প্রশ্ন আসে না।’
কর্ম বিরতির ব্যাপারে নকল নবিশ এসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল হোসেন ও সম্পাদক রোকনুজ্জামান জানান, ‘জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল মান্নান টি.সি মোহরার পদে নিয়োগ পেতে আগ্রহী জ্যেষ্ঠ নকল নবীশদের বাদ দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে একজন কনিষ্ঠ নকল নবীশকে ওই পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এ অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে গত ২১ মে বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অবস্থান ও কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছেন।’
তবে নকল নবিশদের এমন কর্মবিরতির ফলে সাধারণ মানুষের যে ভোগান্তি হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। দলিলের প্রত্যায়িত কপি নিতে আসা একজন জানালেন, ব্যাংকের কাজের জন্য তার দলিলের নকল খুবই প্রয়োজন। কিন্তু দুদিন ধরে ঘুরেও নকল সংগ্রহ করা যায়নি ফলে তার আর্থিক ভাবে লোকসানের সম্মুখিন হতে হবে।