ঝিনাইগাতীতে চাষকৃত প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মাছ আত্মসাতের পায়তারা
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নে এক মৎস্য চাষীর প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার পালিত মাছ এক প্রভাবশালী ব্যক্তি আত্মসাতের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৎস্য চাষী তার চাষকৃত মাছ উদ্ধারের জন্য ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করেছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের দেবোত্তর পাড়া গ্রামে মৃত আলহাজ আঃ গনির সরকারের ছেলে রহুল আমিন দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ তাদের পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত দেড় একরের ৩টি ইজমালিক পুকুরে বাণিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছে। এবছরেও রহুল আমিন অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ধান-দেনা করে ওই তিন পুকুরে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার উপরে মাছ চাষ করে এবং বর্তমানে ওইসব মাছ বিক্রির উপযোগী। তাই বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ীরা ওই সকল মাছ ক্রয়ের জন্য চাষী রহুলের সাথে দরদাম বনাচ্ছে এবং যে কোন সময় বিক্রি হবে। এ অবস্থায় শেরপুরের কর্মাশিয়াল ইমর্পটেন্ট পারশন (ঈওচ) হিসেবে আখ্যায়িত তাজ ফিলিং ষ্টেশনের সত্তাধিকারী রহুল আমিনের আপন বড় ভাই এইচএম তাজুল ইসলাম (আবু) তার সঙ্গীয় বাহিনী ফজলুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আঃ হামিদ, মিজানুর, আলী হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে আকস্মিক ভাবে ওই তিনটি পুকুরে গত ২৪ ও ২৫ মে তারিখে জোর পূর্বক পোনা মাছ ছাড়ে। এর কারন হিসেবে জানা যায়, কোন ভাবেই রহুলকে ওই তিন পুকুর থেকে ৩০ লক্ষাধিক চাষকৃত মাছ তুলতে দিবেনা তারই বড় ভাই এইচএম তাজুল ইসলাম (আবু)। তাছাড়া রহুলের আবাদকৃত মাছ উঠাতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি প্রদান করে আবুও তার লোকজন। এই মর্মে রহুল আমিন বাদী হয়ে তার ভাই এইচএম তাজুল ইসলাম (আবু) এর বিরোদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় ২৫ মে রাতে একটি সাধারণ ডায়েরীও করেছেন এছাড়া নিয়মিত মামলা দায়েরেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার এসআই ইউনুস আলীর সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, “আমি এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পত্র পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং বিষয়টি নিস্পত্তির চেষ্টা করছি”। এলাকাবাসী মনে করেন, থাকতে পারে ওই তিন পুকুরে আবু’র জমির মালিকানা। তিনি তো মাছের মালিক নন। তিনি কর্মাশিয়াল ইমর্পটেন্ট পারশন (ঈওচ) হিসেবে আখ্যায়িত বলেই কি এইচএম তাজুল ইসলাম (আবু) সহোদর ছোট ভাই রহুল আমিনের কষ্টার্জিত ৩০ লক্ষ টাকার মাছ বেদখল করে নেবে, এটা কোন আইনে আছে।