গারো তরুণী ধর্ষণ: দায় স্বীকার করল তুষার ও লাভলু
উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে গারো তরুণীটির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে তুষার। তারপর তাকে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দেখা করতে বলে তুষার। সেখান থেকে জোর করে তাকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করে তুষার আর তার সহযোগীরা।
রাজধানীর র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এ সব তথ্য জানান।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, বুধবার রাত ১টার দিকে প্রধান আসামি আশরাফ ওরফে তুষারকে (৩৫) পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-১।
তুষারের তথ্যানুযায়ী রাজধানীর গুলশান-১ থেকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জাহিদুল ইসলাম লাভলুকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়। তাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-চ ১৫-৪৭০১) বনানীর ২১ নম্বর রোডের ৬০/বি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
মুফতি মাহমুদ বলেন, এই ধর্ষণের পরিকল্পনায় ফিরোজ নামে আরেকজন জড়িত ছিল। আশরাফ ও লাভলু সিগনেট নামে একটি বায়িং হাউজে ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত। গত ৩ বছর ধরে সিগনেট বায়িং হাউজে কাজ করছে তুষার। ১৭ মে তুষার দু’জন বিদেশী নারীকে (সাউথ আফ্রিকান নাগরিক- যারা এ্যাটকন বায়িং হাউজে কর্মরত) নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কের ২য় তলায় কেনাকাটার জন্য যায় এবং তখনই গারো মেয়েটির সাথে পরিচয় হয়। ১৮ মে তুষার তরুণীটিকে বেশ কয়েকবার ফোনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে। ২০ মে তাদের মধ্যে চাকরি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আবারও ফোনে কথা হয়। পরে মেয়েটিকে ২১ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দেখা করতে বলে তুষার।
কমান্ডার মুফতি মাহমুদ বলেন, রাত পৌনে ৯টার দিকে তুষার ও লাভলু যমুনা ফিউচার পার্কের অপর পাশের একটি রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা করতে থাকে। লাভলু রাত সোয়া ৯টার দিকে মেয়েটিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া কথা বলে। মেয়েটি রাজি না হলেও তাকে জোর করে গাড়িতে উঠায় তারা। সে সময় গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে লাভলু গাড়ি চালাচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর তুষার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। বসুন্ধরা এলাকার ৩০০ ফিট রাস্তা এলাকায় গিয়ে চালকের আসন পরিবর্তন করে সে। লাভলুও একইভাবে নির্যাতন করে। পরে মেয়েটিকে রাত ১০টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভার-এয়ারপোর্ট হয়ে জসীমউদ্দিন মোড়ে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা।
তিনি আরও বলেন, দুই-তিনদিন ধরেই ওই তরুণীর গতিবিধি লক্ষ্য করে তুষার, লাভলু ও ফিরোজ ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। আসামিরা র্যাবের কাছে তাদের অপরাধের দায় স্বীকার করেছে।