শ্রীবরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি ও অর্থ আতœসাতের অভিযোগ
শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
শ্রীবরদী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির মাধ্যমে চাকুরীতে যোগদান ও অর্থ আতœসাতের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলার একমাত্র শ্রীবরদী ইসলামিয়া কামিল (এমএ) মাদরাসায় গত ৮ জুলাই ২০১২ সালে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। যোগদানের সময় ভূয়া অভিজ্ঞতা সনদ দাখিল করেন। এছাড়া তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতায় দেখা যায় ফাজিল ও বিএ (অনার্স) একই শিক্ষাবর্ষের অন্তর্ভূক্ত। যা শিক্ষানীতি পরিপন্থী।
অধ্যক্ষ মোঃ আঃ হালিম যোগদান ও মাদ্রাসার দায়িত্ব বুঝে নিয়েই ১৯৯৫ সনে দাখিল বিজ্ঞান শাখার অনুমতিপত্র গোপন করে নতুন করে অনুমতি বের করার কথা বলে মাদরাসার শিক্ষক, কর্মচারীদের ঈদ উল আযহার প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দকৃত বোনাসের ২ লক্ষাধিক টাকা আতœসাৎ করেন। মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের সকল আয়ের অর্থ ব্যাংকে জমা করার কথা থাকলেও অধ্যক্ষ আঃ হালিম ব্যাংকে জমা না করে সুবিধামতো ব্যয় করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সাধারন তহবিলের ৬৩ হাজার টাকা এবং মাদরাসার পুরাতন ঘর বিক্রির ২৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা না করে আতœসাৎ করে।
অভিযোগে আরো প্রকাশ, সহকারি শিক্ষক (ইংরেজী), সহকারী মৌলভী ও ইবতেদায়ী প্রধান পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যম দরখাস্ত আহবান করা হয়। কিন্তু ২ টি পদে কাম্য আবেদন পাওয়ার পরও অধ্যক্ষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। যা নিয়োগবিধির পরিপন্থী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা নীতিমালা মোতাবেক নতুন কমিটি গঠনের পর অভ্যন্তরীন অর্থ কমিটি ও শিক্ষা কমিটি কোন প্রকার প্রয়োজনবোধ করেন না। অধ্যক্ষ মোঃ আঃ হালিম শিক্ষানীতি অনুসরণ না করে শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারি বেতন ভাতা কর্তন করেন এবং শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরন করেন।
শ্রীবরদী উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান একেএম ওবায়দুর রহমান খায়ের মুন্সী শ্রীবরদী বাজারের সিএনবি রোড সংলগ্ন চান্দিনায় ১ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি দলিল মূলে মাদরাসাকে দান করেন। যার বর্তমান মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। কিন্তু অধ্যক্ষ মোঃ আঃ হালিম ২০১৪-১৫ সনের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের সময় দাতা শ্রেনীর ভোটার তালিকায় তাঁর নাম সংযুক্ত করেনি এবং অধ্যক্ষ কার্যালয়ের দেয়াল বোর্ডে দাতাগনের নামের তালিকা হতে একেএম ওবায়দুর রহমান খায়ের মুন্সীর নাম মুছে ফেলেছে।
এ নিয়ে একেএম ওবায়দুর রহমান খায়ের মুন্সী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ মোঃ আঃ হালিমের মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।