শ্রীবরদী সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের নির্যাতন>>> ফেটে গেছে ছাত্রের কানের পর্দা, হাসপাতালে ভর্তি
শ্রীবরদী (শেরপুর) সংবাদদাতা ঃ
শ্রীবরদী সরকারি কলেজের প্রিন্সিপালের চড়ে ফেটে গেছে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের কানের পর্দা। আহত শিক্ষার্থী আপেল বর্তমানে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার কলেজ চলাকালীন সময়ে।
আহত ছাত্র ও অন্যান্য শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম নাসির উদ্দিন প্রায়ই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। ঘটনার দিন রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার ক্লাসরুমে যান। এ সময় শিক্ষার্থী আপেল ক্লাস রুমের ব্ল্যাক বোর্ড, স্পিকারের সংকটের কথা জানালে অধ্যক্ষ ওই শিক্ষার্থীকে কয়েকটি থাপ্পর মারেন। এতে শিক্ষার্থীর কানের পর্দা ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় এখনও শ্রীবরদী হাসপাতালে রয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী আপেল হাসপাতালের বেডে কাতরাতে কাতরাতে এ প্রতিনিধিকে জানান, সে সময় আমরা সবাই ক্লাস রুমে ছিলাম। প্রিন্সিপাল স্যার ক্লাসে আসলে আমি বলি যে, স্যার আপনি কলেজ ড্রেস ছাড়া কলেজে ঢুকতে দেন না। আমরা কস্ট করে হলেও সবাই কলেজ ড্রেস বানিয়েছি এবং পড়ে আসি। কিন্তু আমাদের ক্লাসে তো ব্ল্যাক বোর্ড, স্পিকার নেই। এতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। কথা শেষ না হতেই স্যার আমার কানে কয়েকটি চড় মারেন।
উল্লেখ্য অধ্যক্ষ একেএম নাসির উদ্দিন প্রায়ই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন বলে জানান সাধারন শিক্ষার্থীরা। তারা আরও জানান, কয়েকদিন আগে তুষার নামে আরেক শিক্ষার্থীকে ছাতা দিয়ে বারি দিয়ে ছাতা ভেঙ্গে ফেলে।
শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আরএমও ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান জানান, ছাত্রটিকে আমি দেখেছি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সম্ভবত তাঁর কানের ভেতরের পর্দা ফেটে গেছে। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু অজানা কারণে সে এখনও শ্রীবরদী হাসপাতালে রয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, কলেজে বহিরাগত ছাত্রদের উৎপাত বেশি। বহিরাগতদের তাড়াতে গিয়ে আপেলের কানে চড় লেগে যায়। সে শারিরিকভাবে দূর্বল ছিল তা আমার জানা ছিল না।
অপরদিকে এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।