‘মসজিদে জঙ্গিবাদ নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে ব্যবস্থা’
মসজিদে কেউ যাতে জঙ্গিবাদ নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো ও যারা এমন বক্তব্য দেবেন তাদের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।
রাজধানীর পুলিশ সদরদপ্তরে শনিবার দুপুরে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শকের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসলামের দৃষ্টিতে জঙ্গিবাদ, ওলামা ও মাশায়েখদের করণীয় এবং পুলিশের সঙ্গে ওলামা ও মাশায়েখদের সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আইজিপি বলেন, ‘তরুণ-যুবকদের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পিস টিভি যদি জঙ্গিবাদ নিয়ে কোনো ধরণের প্রচারণা চালায় তাহলে সেটা আপনারা তথ্য মন্ত্রণালয়ে জানান। সেখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়াও আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে। তারা মনিটরিং করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। আপনাদের কাছে দোয়া চাই। ভয় না পেয়ে আপনারা আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করবেন। যারা ইসলামের মতাদর্শের নামে জঙ্গিবাদের প্রচার করতে চাচ্ছে, তারা তো প্রকাশ্যে কিছু করতে পারছে না। তারা জিহাদের নামে লুকিয়ে গুলি, বোমা হামলা করছে। এতেই বোঝা যায় যে তারা দুস্কৃতকারী। তাদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে হবে।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘এ সরকার ইসলামবিরোধী নয়; যারা এ ধরণের প্রচারণা চালাচ্ছে তাদের রুখে দিতে হবে। মাওলানাদের কাছ থেকে সাজেশন নিলাম। আজ খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ সম্ভব।’
প্রকৃত ওলামাদের ইসলাম প্রচারের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের জন্য ওলামা-মাশায়েখদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপি বলেন, ‘মামলাগুলো আপিল বিভাগে রয়েছে। নিষ্পত্তি না হলে কার্যকর করা যাচ্ছে না।’
মতবিনিময় সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ প্রতিটি জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ২০ জেলার ৩৫ জন ওলামা ও মাশায়েখ উপস্থিত ছিলেন।