ডুয়েটে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, হল ত্যাগের নির্দেশ
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আহতদের মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র চঞ্চল কুমার ও ইইই বিভাগের একই বর্ষের ছাত্র মাসুদ রানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং চতুর্থ বর্ষের দেবজিৎ চন্দ্র আকাশ, রাকিব হোসেন লিংকন, জুয়েল বিশ্বাস, সফিকুর রহমান ও সোলায়মান এবং ইইই’র ছাত্র গিয়াস উদ্দিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ডুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান জানান, ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছাত্রদের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদের পাঁচটি এবং ছাত্রীদের একটি হল রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ক্যাস্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান।
ছাত্রলীগের ডুয়েট শাখার সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ডুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাতুল ও তার লোকজন দুইদিন আগে ছাত্রশিবিরের এক কর্মীকে কুদরত-ই খুদা হলে উঠিয়ে দেন।
“এনিয়ে আমার কয়েকজন সহপাঠী সোমবার বিকালে ওই হলে গিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের চার-পাঁচ জন আহত হয়েছেন।”
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাতুল বলেন, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রোনিক্স (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুহুল আমিন ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
“ভুয়া অজুহাত তুলে আমার কর্মীদের উপর রড-লাঠি ও দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের চারজন ছাত্র আহত হয়েছেন।”
তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চঞ্চল ও মাসুদ রানার মাথায় ইনজুরি রয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ওসি মো. রেজাউল হাসান রেজা জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ জল কামান ও রায়ট কারসহ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।