হাঁপানি নিয়ে ভুল ধারণা
চিকিৎসাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট অবলম্বনে হাঁপানি নিয়ে প্রচলিত কয়েকটি ভুল ধারণা সম্পর্কে জানিয়েছেন ফাস্ট কেয়ার হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
শুধু শিশুদেরই হয়: শৈশবেই বেশিরভাগ হাঁপানি ধরা পড়ে কথাটা ঠিক। তবে চল্লিশ বছর বয়সেও এই রোগ ধরা পড়ে অনেকের। মেনোপোজের সময়ও প্রথমবার হাঁপানি ধরা পড়তে পারে অনেক নারীর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর সঙ্গে হরমোনজনিত সম্পর্ক থাকতে পারে।
রোগটি মারাত্বক কিছু নয়: হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট অনেকেই খুব সাধারণভাবে নিয়ে থাকেন। মনে করেন এটি তেমন কোনো সমস্যাই নয়। তবে এক তৃতীয়াংশের বেশি হাঁপানি রোগীর মারাত্বক সংক্রমণের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা থাকে। পাঁচ শতাংশ রোগীর এতটাই বেশি সমস্যা থাকে যে তারা প্রায় সবসময়ই শ্বাসকষ্টে ভোগেন।
হাঁপানি থাকলে ব্যায়াম করা যাবে না: অনেকেই হাঁপানি রয়েছে বলে ব্যায়াম এড়িয়ে চলেন। তবে নিয়মিত ব্যায়াম ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ভালো রাখে এবং শান্ত থাকতে সাহায্য করে। অর্থাৎ সংক্রমণের মাত্রা কমে আসে অনেকটাই। তবে ঠাণ্ডা বা দূষিত বাতাস কিংবা পরাগরেণুর কারণে যদি হাঁপানি বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে ঘরের বাইরে ব্যায়াম করা উচিৎ হবে না। আর ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
হাঁপানিরোগী সবসময়ই হাঁপায়: কিছু হাঁপানি রোগী মোটেই শ্বাস নেওয়ার সময় হাঁপানো বা শোঁ শোঁ শব্দ করেনা। বুকে কফ জমে যাওয়া কিংবা রাতে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়াও হাঁপানির উপসর্গ হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট হলে শুধু ইনহেলারই যথেষ্ট: হাঁপানি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা মানে শ্বাসকষ্ট হলেই ইনহেলার বা ‘নিরামক’ ব্যবহার করা নয়। রোগীর উচিত হবে দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা দূর রাখতে প্রতিষেধ ব্যবস্থা রাখা এবং ভবিষ্যতে শ্বাসকষ্ট এড়ানোর চেষ্টা করা।
ছবি: রয়টার্স।